
গ্রামীণ হরিলুট পর্ব-১
এম সাইফুল ইসলাম
খুলনার তেরখাদা সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে পশ্চিম পাড়া যুব সংঘ ক্লাবের নামে (২০২০-২১) অর্থ বছরে কাবিটা প্রকল্প থেকে ১ লাখ ১৭ হাজার ৬২২ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নামে মাত্র ক্লাবটি থাকলেও বাস্তবে কোন অস্তিত্ব নেই বললেই চলে।
ক্লাবের নামে অর্থ বরাদ্দ হলেও ক্লাবের সভাপতি শওকত মোল্যা এবং সাধারন সম্পাদক অহিদ শেখ কিছুই জানে না।
খুলনার তেরখাদা উপজেলাকে ঢেলে সাজাতে নানা প্রকল্প হাতে নেয় কর্তৃপক্ষ। ব্যক্তিগত সার্থে এ উন্নয়নের গতিধারাকে স্থবির করার জন্য অনিয়মের চাকা সচল রেখেছে একটি সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটটি প্রতিনিয়তই টিআর, কাবিখা, কাবিটা ও আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে বিভিন্ন অবৈধ সুবিধা নিচ্ছেন। কাগজে কলমে সব ঠিকঠাক থাকলেও বাস্তবে গিয়ে কোন কিছুই তাঁর দেখা মেলে না।
- বরাদ্দ হলেও জানে না সভাপতি-সম্পাদক
- পিআইওকে প্রতি কাজে দিতে হয় ভাগা
তেরখাদা পশ্চিম পাড়া যুব সংঘ ক্লাবের সেক্রেটারী অহিদ শেখ জানান, আমরা ক্লাবের নামে একটি টাকাও বরাদ্দ পায়নি।তিনি আরও জানান, সাবেক এমপি বেঁচে থাকতে আমাদের দশ হাজার টাকা দিয়েছিল। যদি কেউ ক্লাবের নামে টাকা উঠিয়ে থাকে, তাহলে সে টাকা আত্মসাত করছে। আমাদের ক্লাবের সভাপতি ও আমি টাকার বিষয় কিছুই জানি না।
জানা যায়, সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে বরাদ্দগুলো নেওয়া হয়। ফলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সঠিকভাবে, সঠিক জায়গায় অর্থ বরাদ্দ হয় না।এছাড়া অনুসন্ধানে আরো জানাযায়, যে সকল কাজে ত্রæটি থাকে সেই কাজগুলোর স্থানে পরিদর্শনে আসে না কেউ। ফলে অনায়াসে-ই সিন্ডিকেটটি পাচ্ছে অনিয়ম করার সুযোগ।
তেরখাদা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহেল রানার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আপনার কি মনে হয় টাকা কি আমরা মেরে খায়ছি, আপনি অফিসে আসেন বিস্তারিত বলব।তেরখাদা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এফ এম অহিদুজ্জামান বলেন, কাবিটা প্রকল্পের এ বরাদ্দ সম্পর্কে আমার জানা নেই।তেরখাদা উপজেলা চেয়ারম্যান মো: শহিদুল ইসলাম জানান, আমার কাছেও এমন অভিযোগ আসছে। আমরা খুব শীঘ্র-ই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবো। এরপরে-ই আসল ঘটনা বুঝতে পারবো।