জেলার তেরখাদার দক্ষিণ কুশলা এলাকার অলিদ মোল্যা অন্যের মৎস্য ঘের থেকে মাছ চুরিকালে হাতেনাতে ধরা পড়ার ঘটনায় শালিশ-মিমাংসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল চক্রান্ত করছে বলে পাল্টা অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেছে স্থানীয় ছাগলাদহ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খান সেলিম আহমেদ। গত ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সত্য ঘটনাকে চাপা দিয়ে কল্পকাহিনী সাজিয়ে তাদের সুনাম ক্ষুন্ন করার অভিযোগ করেন স্থানীয় অলিদ মোল্যার বিরুদ্ধে।
সংবাদ সম্মেলনে অলিদ মোল্যার আপন ভাই নাসির মোল্যা ও সুখমিয়া মোল্যা এবং চাচাতো ভাই রফিক মোল্যাসহ ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য, স্থানীয় রাজনীতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। চেয়ারম্যানের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউপি সদস্য কাজী আশরাফ আলী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় বাসিন্দা নাসির (নসু) খাঁনের মৎস্য ঘের থেকে মাছ চুরির সময়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছিল ওলিদ মোল্যা। স্থানীয় ইউপি (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান খান সেলিম, সাবেক ইউপি সদস্য শেখ মাহমুদ হোসেন পাবলু, কুশলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সহকারী শিক্ষক শরীফ ইকবাল হোসেন, আ’লীগ নেতা বদরুল আলম বাদশা, শেখ জাহাঙ্গীর আলমসহ উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে শালিসী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সর্বসম্মতিক্রমে উভয়ের মধ্যে আপোশ-মিমাংশা করিয়ে দেয়া হয়েছিল। মাছ চুরির ঘটনায় অপমানবোধের জেরধরে ওলিদ মোল্যা স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দ্বারা আর্থিক প্রভাবিত হয়ে একেরপর এক মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে।
সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ২৪ সেপ্টেম্বর খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছে। এতেও ক্ষ্যান্ত না হয়ে চক্রান্তকারীরা হয়রানির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কল্পকাহিনী সাজিয়ে দরখাস্ত করেছে। আদালতে মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে মামলা করেছে চতুর অলিদ মোল্যা।