গ্রামীণ হরিলুট পর্ব-৩
এম সাইফুল ইসলাম
সাচিয়াদাহ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পাতলা পূর্বপাড়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের প্রাঙ্গণ মাটি দ্বারা ভরাটের জন্য কাবিটা প্রকল্প থেকে ৪ লাখ ১৫ হাজার ৩২০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান উকিল উদ্দিন লস্করকে দিয়ে এ মাটি ভরাটের কাজ করানো হয়। তবে রহস্যজনক কারণে মন্দিরের সভাপতি শংকর বিশ্বাস বা সাধারণ সম্পাদক দ্বিলীপ দাসকে মাটি ভরাট করণ কাজের কমিটিতে রাখেনি। এছাড়া কতটাকা মন্দিরের প্রাঙ্গণ মাটি ভরাটের জন্য এসেছে তা জানানো হয়নি। ফলে মাটি ভরাটের এ কাজ নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক।
পাতলা পূর্ব পাড়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সভাপতি শংকর বিশ্বাস বলেন, মাটি ভরাট করেছে চেয়ারম্যান, টাকা কত বরাদ্দ হয়েছে তা আমরা জানি না। কোন প্রকার রেজুলেশন হয়নি এ বরাদ্দের বিষয়।
তেরখাদা উপজেলাা উন্নয়নে নানা প্রকল্প হাতে নেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নিজেদের আখের গোচাতে উন্নয়নের এ গতিধারাকে পাল্টে দেয় একটি সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটটি প্রতিনিয়তই টি আর, কাবিখা, কাবিটা ও আশ্রয়ন প্রকল্প থেকে বিভিন্ন অবৈধ সুবিধা নিচ্ছেন। এ নিয়ে ভুক্তভোগি ও সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ভূক্তভোগিরা এ পরিস্তিতি থেকে পরিত্রান পেতে জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করলেও অদৃশ্য ইশারায় মিলছে না পরিত্রাণ।
জানা যায়, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহেল রানাকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে বরাদ্দগুলো নেওয়া হয়। ফলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সঠিক ভাবে, সঠিক জায়গায় অর্থ বরাদ্দ হয় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তেরখাদার এক যুবলীগ নেতা জানান, পিআইও সোহেল রানাকে প্রতি কাজের জন্য ১০ পারসেন্ট ভাগা দিতে হয়। না হলে কোন কাজ পাওয়া যায় না।
সাচিয়াদাহ ইউপি চেয়ারম্যান উকিল উদ্দিন লস্কর বলেন, মাটি ভরাটের জন্য কতটাকা বরাদ্দ হয়েছিল তা এ মুহূর্তে মনে পড়ছে না, তবে পরে আমি জেনে বিস্তারিত বলতে পারব।
তেরখাদা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহেল রানার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কোন সদুত্তোর না দিয়ে ফোন রেখে দেয় ।
তেরখাদা পাতলা পূর্বপাড়া মন্দিরে মাটি ভরাটের অর্থ বরাদ্দ জানে না মন্দির কমিটি
Leave a comment