By using this site, you agree to the Privacy Policy and Terms of Use.
Accept

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • জেলার খবর
    • খুলনা
    • চুয়াডাঙ্গা
    • বাগেরহাট
    • মাগুরা
    • যশোর
    • সাতক্ষীরা
  • ফিচার
  • ই-পেপার
Reading: ত্রাণ চায়না উপকূল বাঁশি চায় টেকসই মজবুত ভেরি বাঁধ
Share
দৈনিক জন্মভূমিদৈনিক জন্মভূমি
Aa
  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • ই-পেপার
অনুসন্ধান করুন
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • ই-পেপার
Have an existing account? Sign In
Follow US
প্রধান সম্পাদক মনিরুল হুদা, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত
দৈনিক জন্মভূমি > জেলার খবর > সাতক্ষীরা > ত্রাণ চায়না উপকূল বাঁশি চায় টেকসই মজবুত ভেরি বাঁধ
সাতক্ষীরা

ত্রাণ চায়না উপকূল বাঁশি চায় টেকসই মজবুত ভেরি বাঁধ

Last updated: 2025/05/07 at 4:59 PM
করেস্পন্ডেন্ট 5 months ago
Share
SHARE

সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : ২০০৯ সালের ২৫ মে প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড় আয়লার পর থেকে প্রায় প্রতিবছরই মে মাসে এক বা একাধিক ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে বাংলাদেশের উপকূলে। এবছরও এ মাসে ঘূর্ণিঝড়ের প্রবণতা আছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস, চলতি মে মাসে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড় হলে তা মাসের শেষার্ধে হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
তবে, ঘূর্ণিঝড়ের স্বাবাভিক ক্ষয়ক্ষতির বাইরেও উপকূলীয় সাতক্ষীরা ও খুলনা অঞ্চলের মানুষের সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক তৈরী করে এই অঞ্চলের নদ-নদীর বেড়িবাধ। ঘূর্ষিঝড়ের মাত্রা যাই হোক না কেন, নদীতে জোয়ারের সময় সামান্য ঝড়েও বাধগুলো ভেঙে লোকালয় ও ফসলী জমি প্লাবিত হয়।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ২৬ মে মধ্যরাতে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলের সমুদ্র তীরবর্তী এবং আশপাশের অঞ্চলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। ২০২৩ সালের ১৪ মে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানে মোখা। এতে বাংলাদেশে কোনো প্রাণহানি না ঘটলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ২০২২ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় আসানিতে প্রাথমিকভাবে অন্ধ্রপ্রদেশ প্রভাবিত হয়। বাংলাদেশে কম ক্ষতি হয়। ২০২১ সালের ২৬ মে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস।
২০২০ সালে সুপার সাইক্লোন আম্ফান বাংলাদেশে আঘাত হানে ২০ মে। এতে উল্লেখযোগ্য ধ্বংস এবং প্রাণহানি ঘটে। ২০১৯ সালের ২ ও ৩ মে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। প্রাণ হারান ৯ জন। ফণী ভারতের ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানে এবং পরে কলকাতা ও বাংলাদেশের ওপর দিয়ে চলে যায়।
ঘূর্ণিঝড় মোরা উপকূল এলাকায় আঘাত করে ২০১৭ সালের ৩০ মে। প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের গতি ছিল ১১০ কিমি.। মোরার প্রভাবে উপকূলে মারাত্মক ক্ষতি হয়। ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু উপকূলে আঘাত হেনেছিল ২০১৬ সালের ২১ মে। এতে চট্টগ্রামে ২৪ জনের মৃত্যু হয়। ৪-৫ ফুট উঁচু ঝড়ের ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় লক্ষাধিক পরিবার। ঘূর্ণিঝড় মহাসেন উপকূলে আঘাত হানে ২০১৩ সালের ১৬ মে। এতে ১৭ জনের মৃত্যু হয়।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী এসব ঘূর্ণিঝড়ের কয়েকটি বাদে অধিকাংশতেই সাতক্ষীরা ও খুলনা উপকূলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ফলে মে মাস এলেই এই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
কয়লা উপকূলের কপোতাক্ষ নদের পাড়ে বসবাসকারী হরিণখোলা গ্রামের বাসিন্দা শাহাদাত শেখ এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, প্রতিবছর মে মাস আসলে আমাদের মনে খুব ভয় ধরে। বিভিন্ন দুর্যোগে কপোতাক্ষ নদের বাঁধ ভেঙে গ্রামে পানি ঢুকেছে। এতে গ্রামবাসীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমরা বাড়িতে থাকতে পারি না। সাইক্লোন সেল্টারে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়। জোয়ারের পানিতে ঘরের ভেতর থাকা মালামাল জিনিসপত্র সব ভেসে যায়। তিনি আরো বলেন, আমার ১৫বিঘা জমি জমা এই কপোতাক্ষ নদের ভাঙ্গনে চলে গেছে। প্রায় ১৫ দিন আগে আবার আমাদের এই বাড়ির সামনের কপোতাক্ষ নদের হরিণখোলার গ্রামের ভেড়িবাঁধে ভাঙ্গনের ধস নেমেছে। নদীর জোয়ারের ¯্রােতের গতি বৃদ্ধিপেলে ধাক্কা লাগলে যেকোনো সময় এই বাঁধ ভেঙে আবার আমাদের গ্রামে পানি ঢুকতে পারে। নদীতে জোয়ার হলে আমি প্রায় এসে এসে দেখি। একেবারে ভেঙে গেল কিনা, এভাবে বুধবার দুপুরে বেড়িবাঁধের উপর বসে কথাগুলো বলেছিলেন তিনি।
একই গ্রামের বাসিন্দা প্রতিবন্ধী মোঃ ওলিউল্লাহ এই প্রতিবেদককে ‌বলেন, আমাদের জায়গা জমি যা ছিল সব এই কপোতাক্ষ নদের ভাঙ্গনে চলে গেছে। আমরা বর্তমানে অসহায় হয়ে বস্তিতে বসবাস করছি। তিনি আরো বলেন, আমাদের নিজস্ব কোন জায়গা জমি নেই। অন্যের কাছ থেকে ভিক্ষা করে এনে জীবিকা নির্বাহ করছি। প্রতিবছর মে মাস আসলে আমাদের খুবই ভয় হয়। আবার কোন দুর্যোগ এসে আমাদের বসত বাড়ি কেড়ে নেয় কিনা।
ঘাটাখালি গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মফিজুল ইসলাম বলেন, কপোতাক্ষ নদের ভাঙ্গনে আমাদের ভিটেবাড়ি সব নদীতে চলে যাচ্ছে। আমরা দুরবস্থার মধ্যে বসবাস করছি। কখন আবার বাঁধ ভেঙে আমাদের লোকালের পানি ঢোকে। আমরা বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে পরিবার নিয়ে কোথায় যাব আমাদের যাওয়ার কোন জায়গা নেই। তিনি আরো বলেন, প্রতিবছর এই মে মাস আসলে আমরা আতঙ্কে থাকি কখন দুর্যোগ আসবে। আমাদের রাতে ঠিকমত ঘুম হয় না, আমরা কোথায় যাব কি করব। উর্দ্ধতন যেসব কর্মকর্তা আছে তারা আমাদের দেখে না। দুর্যোগে হলে আমরা আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে থাকি। ওখানে আমাদের না খেয়ে জীবন যাপন করতে হয়। এই অবস্থায় আমাদের জীবন যাপন করতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এই কিছুদিন আগে আমাদের কপোতাক্ষ নদের হরিণখোলা গ্রামের ভেড়িবাঁধে ধস নেমেছে। আমরা এই নিয়ে খুব আতঙ্কে আছি।
বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জীব সরকার বলেন, মে মাস আসলে প্রতিদিন খবর শুনি, আবার দুর্যোগ আসছে কিনা। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমাদের বসত বাড়িতে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কয়রা নদীর চরের বাসিন্দা আন্না খাতুন বলেন, প্রতিবছর এই মে মাসে বিভিন্ন ঝড় ঝঞ্ঝা আসে। আমরা নদীর চরে থাকি আমাদের ঘর ভেঙে যায়। আবার কষ্ট করে ঠিক করি। মহেশ্বরীপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ এবাদুল শিকারি বলেন, মে মাসে খুব ভয় হয় বিভিন্ন দুর্যোগে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এখনো সে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারিনি। তিনি আরো বলেন, আমাদের বাড়ির সামনের বেড়িবাঁধটা ঠিক করলে রাতে একটু ঘুম পড়তে পারতাম।
খিরোল গ্রামের মোঃ লিটন বলেন, আমরা ত্রাণ চাই না টেকসই বেড়িবাঁধ চাই। একই কথা বলেন, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা মোঃ হাবিবুল্লাহ বলেন, আমাদের কয়রা উপজেলার যে সকল দুর্বল ভেড়িবাঁধ রয়েছে এ সকল ভেড়িবাধগুলো দ্রুত ঠিক করতে হবে। তাহলে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে কয়রাবাসী রেহাই পাবে। তিনি দুর্বল বেড়িবাঁধগুলো দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনা-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম এই প্রতিপাদক কে বলেন, ওখানে আমাদের কাজ করা হচ্ছে। পুরো থানার দেড় কিলোমিটারের মতো কাজ অলরেডি আমরা টেন্ডার করেছি। এ মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে আমরা রিসিভ করবো ঠিকাদার, এ মাসেই মাঠে নেমে যাবে। এর মধ্যে যদি সমস্যা মনে হয় তাহলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিবো। আমাদের কাছে যে বাধগুলো ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়েছে, সেগুলো আমরা টেন্ডার করে ওয়ার্কশীর্ট দিয়েছি। এসপ্তাহের মধ্যে ঠিকাদার মাঠে চলে যাবে। তিনি আরো বলেন, এর বাইরে যে জায়গাগুলো নিচু মতো আছে, সেগুলো আমাদের মনিটরিং চলছে। এদিকে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের অন্তত 50 টি স্পট অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে যেকোনো সময় ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাস হলে ওই সমস্ত স্থান থেকে ভেঙ্গে অথবা অভার লোড করে পানি ভিতরে প্রবেশ করে এলাকার মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সে কারণে শ্যামনগর উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহলের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারাও একই কথা বলে ত্রাণ চায় না চায়তারা টেকসই মজবুত ভেরিবাদ এ ব্যাপারে কথা হয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সালাহউদ্দিন আহমেদ এর সাথে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন যত আরক্ষিত পয়েন্ট আছে সবগুলো আমরা সংস্কার করার জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি অনুমোদন হয়ে আসলেই কাজ শুরু হবে অনুমোদনের অপেক্ষায় আমরা বসে আছি তারপরেও প্রতিনিয়ত উপকূলীয় অঞ্চলে আমাদের পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোক নজরদারি রেখেছে হঠাৎ করে দুর্ঘটনা ঘটলে সেখানে আমরা মুহূর্তের ভিতর পৌঁছে যাব তাছাড়া এলাকাবাসী আমাদেরকে স্বেচ্ছাশ্রমে পর্যাপ্ত পরিমাণ সহযোগিতা করছে। তিনি আরো বলেন আপনারা দেখেছেন শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের সিংহরতলী গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেড়ি বাঁধে কয়েকদিন আগে ফাটল ধরছিল আমরা সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করে ফাটল রথ করেছি এতে এলাকাবাসীও আমাদের মারাত্মক সহযোগিতা করেছে এজন্য এলাকাবাসীর কাছে আমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি,,

করেস্পন্ডেন্ট May 7, 2025
Share this Article
Facebook Twitter Whatsapp Whatsapp LinkedIn Email Copy Link Print
Previous Article মূলঘর ইউনিয়নের বিএনপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত
Next Article ভোমরা বন্দরে ‍ছয় মাসে ১ লাখ ৬৮ হাজার ১০০ টন চাল আমদানি
Leave a comment

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দিনপঞ্জি

October 2025
S M T W T F S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
« Sep    
- Advertisement -
Ad imageAd image
আরো পড়ুন
বাগেরহাট

শরণখোলায় এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের মানববন্ধন ও সমাবেশ

By জন্মভূমি ডেস্ক 47 minutes ago
জাতীয়তাজা খবর

হাসিনাকে ফেরাতে রেড নোটিশ জারির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে : দুদক চেয়ারম্যান

By জন্মভূমি ডেস্ক 53 minutes ago
জাতীয়

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ‘মার্চ টু সচিবালয়’ বিকেল ৪টায়

By জন্মভূমি ডেস্ক 54 minutes ago

এ সম্পর্কিত আরও খবর

সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

By জন্মভূমি ডেস্ক 1 hour ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

কলারোয়ায় চাষিরা কুল গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে

By জন্মভূমি ডেস্ক 6 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

দস্যুতায় ফিরছে আত্মসমর্পণকারীরা, ‘দুলাভাই বাহিনী’সহ ১৪ দল দাবিয়ে বেড়াচ্ছে

By জন্মভূমি ডেস্ক 8 hours ago

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

রেজি: কেএন ৭৫

প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক: আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত

Developed By Proxima Infotech and Ali Abrar

Removed from reading list

Undo
Welcome Back!

Sign in to your account

Lost your password?