জন্মভূমি রিপোর্ট : সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনের অভ্যয়ারন্যে মাছ ও কাঁকড়া শিকার অব্যাহত থাকায় মৎস্যজাত প্রণীর প্রজনন ব্যহত হলেও বনবিভাগের ভুমিকায় নানা প্রশ্ন সচেতন মহলে।
সুন্দরবনের অভ্যয়ারন্যের বনফাঁড়ী পুষ্পকাটি নোটাবেকী, দোবেকী কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় মাছ শিকার অব্যাহত রয়েছে। জেলেরা জানান, সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী, কদমতলা, কৈখালী, কোবাদক থেকে বৈধ পাশ নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশের পর ঐ সব ফাঁড়ী গুলোর কিছু কর্মকর্তা কর্মচারীকে ম্যানেজ করে অভ্যয়ারন্যে এলাকায় মাছ ধরছে কিছু অসাধু জেলে ।অল্প সময়ে অধিক মাছ পাওয়ার আশায়। যে কারণে ফাঁড়ী কর্মকর্তাদের সাথে সম্পর্ক রেখে মাছ ধরছে তারা। বিশেষ করে প্রতি গোনে (অমাবস্যা ও পূর্ণিমায়) তারা অভ্যয়ারন্যে মাছ ধরছে। এছাড়া অনেক জেলে বৈধ অনুমতি না নিয়ে শুধু মাত্র ফাঁড়ী কর্মকর্তাদের সাথে অর্থনৈতিক চুক্তিতে মাছ ধরছে বহুবার লোকালয় আসার পর ঐসব অবৈধ মাছ আটক করছে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক ইকবাল হাসান চৌধুরী মামলা ও হয়েছে বার বার তারপরও থেমে নেই ফাঁড়ী কর্মকর্তা কমর্চারী ও অসাধু জেলেরা ।এসব জেলে বিশেষ করে কয়রা, বুড়িগোয়ালিনী, গাবুরা, কালিঞ্চি, টেংরাখালী, কৈখলী এলাকার ।জেলেরা জানান, ৫/৬ জনের জেলের দল একটি নৌকা নিয়ে অভ্যয়ারন্যে মাছ ধরলে ফাঁড়ী কর্মকর্তাদের প্রতি গোনে ৮০ হাজার থেকে ১লাখ টাকা দিতে হয়। যখনই উদ্ধর্তন বনকর্মকর্তরা আসেন তখন ফাঁড়ী কর্মকতা কর্মচারীরা সিগনাল দিয়ে জেলেদের ছোট খালে প্রবেশ করার জন্য সুযোগ করে দিচ্ছে এভাবে মাছ ধরার কারনে সহকারী বন সংরক্ষক নোটাবেকীঁ অফিস কর্মকর্তা সাহাদৎ হোসেন কে সতর্ক এবং বিভাগীয় মামলা দিলেও থেমে নেই তারা বিশেষ করে সুন্দরবনের অভ্যয়ারন্যের দোবেকীঁ, নোটাবেঁকী, হলদেবুনিয়া, ডিঙ্গিমারী, পাকড়াতলী, ছায়া, বালিঝাকী, আঙ্করাকোনা, মান্দারবাড়িয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় শতশত ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে মাছ ধরলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। যে কারনে সুন্দরবনের নদী ও খালে মাৎসজাত প্রণীর প্রজনন হচ্ছে ব্যহত। এব্যপারে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এ কে এম ইকবাল হাসান চৌধুরী বলেন, সুন্দরবনের অভ্যয়ারন্যে মাছ ধরার কোন অনুমতি নেই। কেউ অবৈধভাবে প্রবেশ করে মাছ ধরলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এব্যাপারে কথা হয় বুড়িগোয়ালীনি ষ্টেশন অফিসার হাবিবুল ইসলামের সাথে তিনি বলেন, বৈধ পাশ ছাড়া সুন্দর বনে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত