জন্মভূমি রিপোর্ট
আজ ২৫ জুন বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হবে। সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা বহুমুখি সেতুর উদ্বোধন করবেন।
দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন ক্ষণ গণনা শুরু করেছে। এ উপলক্ষে দৈনিক জন্মভ‚মির পক্ষ থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হবে। আজ প্রকাশিত হলো খুলনা খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেকের প্রতিক্রিয়া।
প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ প্রত্যাশিত স্বপ্ন সেই পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে। পদ্মা সেতুর ফলে এ অঞ্চলের অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্যে ব্যাপক গতিশীলতার সৃষ্টি হবে। এ অঞ্চলের মানুষসহ দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। এ অঞ্চলের দুটি বন্দর মোংলা ও পায়রা আরও গতিশীল হবে। বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বিগত জোট সরকারের আমলে মোংলা বন্দর অচল করে দেওয়া হয়েছিল। শেখ হাসিনার সরকার এসে মোংলা বন্দর আধুনিকায়ন এবং ইপিজেড করেছে। ফলে মোংলা এখন দেশের অর্থনীতিতে ভ‚মিকা রাখছে।
তিনি প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আরও বলেন, খুলনার একটি বড় অংশ উপক‚লীয় এলাকা। এখনাকার কৃষকরা যোগাযোগের কারণে রাজধানিতে পণ্য পাঠাতে পারে না। ফলে নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হত কৃষকরা। যা এখন আর হবে না। ফলে উপকৃত হবে উপক‚লীয় কৃষকরা।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০১ সালে রূপসা সেতুর কার্যক্রমের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে ২০০১ সালের ৪ জুলাই মাওয়া পয়েন্টে পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপরে দুর্ভাগ্যক্রমে আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় না আসার কারণে পিছিয়ে যায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু।
পরবর্তীতে ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর পদ্মা সেতু নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করেন। কিন্তু এখানে যাতে সেতু বাস্তবায়ন না হতে পারে, সে জন্য বিশ্বব্যাংকসহ দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র শুরু হয়। একপর্যায়ে কানাডার এক আদালতে দুর্নীতির একটি মামলাও হয়। সে মামলায় এই প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি প্রমানিত হয়নি বলে আদালত রায় দেন এবং মামলা খারিজ কওে দেন।
তারপরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সিদ্ধান্ত হয়, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। ২০১২ সালে এই সেতু হবে বলে ঘোষণা করা হয়। সে সময় অনেকেই এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি। নতুন করে আবার ২০১৫ সালে পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। যা ইতিহাসের অংশ।
পরিশেষে তিনি দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।