শেখ আব্দুল হামিদ
শীতের শুরুতেই কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সবজি ক্ষেতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন না হলে বিপাকে পড়তে পারেন সবজি চাষিরা। আর এ কারণে আবারও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। বাজারে নতুন সবজি ওঠায় দর কিছুটা কমে আসতে শুরু করে। এসময় বৃষ্টিতে চাষিরা পড়েছেন বিপাকে। ক্ষেতে ফসল থাকলেও তুলতে দেরি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, কয়েক দিন রোদ হলে আবার বাজারে সরবরাহ বাড়বে। ফসলের ক্ষতি না হলে দাম কমে আসবে। চাষিরা বলছেন সবজির ক্ষতি হলে দর কিছুটা বাড়তে পারে।
বাজারে নতুন ওঠা ফুলকপির কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একপিস ফুলকপি কিনতে খরচ পড়ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। ফুলকপির পাশাপাশি বাজারে বাঁধাকপি, আলু ও শিমের সরবরাহও বেড়েছে। তবে ফুলকপির দর রয়েছে ক্রেতাসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। অবশ্য এর মাঝে ডিম ও মুরগির দাম কিছুটা কমেছে।
শুক্রবার বিকেলে বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা নতুন আলুর কেজি বিক্রি করছেন ৫০ টাকায়। তবে কেউ ৫ কেজি নিলে কোনো কোনো ব্যবসাকয়ী ১০ টাকা কম রাখছেন। আর পুরাতন আলু আগের মতো ২৫ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলুর দামের বিষয়ে বড় বাজারের ব্যবসায়ী আমীর হোসেন বলেন, কয়েকদিন ধরে বাজারে নতুন আলু আসছে। নতুন আসায় এ আলুর দাম একটু বেশি। কয়েক দিন গেলে দাম কমে যাবে। সন্ধ্যা বাজারের ব্যবসায়ী আলম তালুকদার বলেন, বাজারে সব সবজির দর এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কিছুটা কমেছে। সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে দর কিছুটা বাড়তে পারে।
এদিকে শিমের কেজি গত সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। তবে গাজরের দাম কেজিতে ২০ টাকা কমেছে। গত সপ্তাহে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া গাজর এখন ৫০-৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে এখনও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পাকা টমেটো। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আর কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি। পটল, বরবটি, ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ফুলকপির কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং বাঁধাকপির কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম অপরিবর্তিত থাকার তালিকায় থাকা অন্যান্য সবজির মধ্যে ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। করলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লাল শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, মুলা শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পালং শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা।
সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩২০ টাকায়। লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। পাশাপাশি ফার্মের মুরগির ডিম এখন প্রতি ডজন ৯০ থেকে ১০০ টাকাতেই পাওয়া যাচ্ছে। আর পেঁয়াজের কেজি গত সপ্তাহের মতোই ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের দর গেল সপ্তাহের মতই অপরিবর্তিত রয়েছে।
দর বাড়ার শঙ্কা বৃষ্টির কারণে সবজি ক্ষেতে জলাবদ্ধতা
Leave a comment