আহাম্মদ ইব্রাহিম অরবিল, দশমিনা(পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলা দশমিনার চরাঞ্চলসহ বিস্তীর্ন জমিতে আগাম তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলায় মাঠের পর মাঠ তরমুজের ক্ষেতে ভরে গেছে। ছোট বড় আগাম জাতের তরমুজ চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। উপজেলার কৃষকরা আগাম জাতের তরমুজ চাষ করে লাভের স্বপ্ন দেখছে। কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের দাবী চলতি মৌসুমে ৭ থকে ৮ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা যায়,চলতি বছর দশমিনা উপজেলা ৭টি ইউনিয়নে আগাম জাতের তরমুজসহ দেশী জাতের তরমুজ ২ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়। গত বছরের তুলনায় এই বছর ৫ হেক্টর জমিতে বেশী চাষ করা হয়। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে কৃষকরা ৮ কোটি টাকার বেশী তরমুজ বিক্রি করতে পারবে। বর্তমানে তরমুজের ক্ষেতে এক একটি তরমুজের ওজন প্রায় ৫ কেজি হবে। উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের খলিসাখালী গ্রামের তরমুজ চাষী তৈয়বুর রহমান জানায়, আমি এই বছর ৪ একর জমিতে আগাম জাতের তরমুজ চাষ করেছি। চারা রোপন থেকে শুরু করে ফুল থেকে ফল আশা পর্যন্ত ৩ লক্ষ টাকার মত খরচ হয়ে গেছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ফলন ভাল হবে এবং তরমুজ চাষে লাভবান হবো। একই গ্রামের অন্য তরমুজ চাষী মো. জামাল মৃধা জানায়,৩ একর জমিতে আগাম জাতের তরমুজ চাষ করেছি। তরমুজের ক্ষেতে ভাল ফলন এসেছে। প্রতিটি তরমুজের ওজন প্রায় ৬ কেজি করে হয়েছে। আগাম তরমুজ চাষের বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধিকে জানায়,উপকূলীয় উপজেলা দশমিনার মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী। উপজেলায় অনুকূল আবহাওয়া,উপযুক্ত মাটি,ভাল ফলন ও লাভজনক হওয়ায় চলতি বছর অধিক পরিমান জমিতে আগাম জাতের তরমুজের চাষ করা হয়।
দশমিনায় আগাম তরমুজের বাম্পার ফলন

Leave a comment