
দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের গ্রাম বাংলা থেকে দেশী প্রজাতির বিভিন্ন প্রজাতির শিম এখন দুস্প্রাপ্য হয়ে গেছে। উপজেলার গ্রামাঞ্চলের বসতঘর,বাড়ির আঙ্গিনা, বনজঙ্গল,ঝোপঝাড়,অনাবাদি ও পতিত জমির আশেপাশে বিনা চাষেই কামরাঙ্গা এবং মৌ শিম জন্মাতো। প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রকৃতির নিয়মেই এই সব দেশী প্রজাতির শিম বিভিন্ন গাছে ঝুলে থাকতো। লতা জাতীয় এই গাছ বড় অন্য কোন গাছে উঠিয়ে দিলেই কোন পরিচর্যা ছাড়াই বেড়ে উঠতো। অবাধে গাছ কাটা ও বন জঙ্গল উজার হওয়ার কারনে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দেশী প্রজাতির এই শিমগুলো দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলার আলীপুরা, বাঁশবাড়িয়া, রনগোপালদী,চরবোরহান,দশমিনা, বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়ন সহ চরাঞ্চল এলাকা থেকে মাঝে মধ্যে এই শিমগুলো বাজারে আসছে। তবে উল্লেখিত এলাকা থেকে প্রজাতির এই শিশ প্রায় বিলুপ্ত হবার পথে রয়েছে। দেশী প্রজাতির শিম হিসাবে পরিচিত কামরাঙ্গা ও মৌ শিম পাওয়া এখন অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার বটে। বিগত ৩০ বছর আগে গ্রামাঞ্চলে সর্বত্র দেশী প্রজাতির এই শিমগুলো পাওয়া গেলেও এখন আর তেমন পাওয়া যায় না। উপজেলার হাট-বাজার গুলোতে হাইব্রিড সবজির আধিক্য থাকায় দেশী প্রজাতির এই সবজিগুলো পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানায়, দারিদ্রতার কারনে অনেক পরিবার তাদের বাড়ির আশেপাশের গাছপালা কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে। অনেকে আবার বন জঙ্গল কেটে উজার করে দিচ্ছে কিংবা নতুন বসতি স্থাপন করছে। ফলে গাছপালা ও বন জঙ্গল কমে যাওয়ায় দেশী প্রজাতির কামরাঙ্গা শিম,মৌ শিম আর পাওয়া যাচ্ছে না। অভিজ্ঞ মহলের মতে সমন্বিত পরিবেশ সম্পদ ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহন, অবাধে গাছপালা ও বন জঙ্গল কাটা বন্ধ করা হলে দেশী প্রজাতির এই শিমগুলো রক্ষা করা সম্ভব হবে। উপজেলার গ্রামীন হাট-বাজারে কদাচিৎ এই দেশী প্রজাতির শিম দেখতে পাওয়া গেলে বর্তমানে বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে পৌছে গেছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত