দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন খাল-বিলে পানি বেড়ে যাওয়ায় ধর্মজাল বা ভেসাল জাল হাতে নিয়ে মাছ ধরতে কদাচিৎ দেখা যায়। তবে উপজেলা থেকে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধর্মজাল দিন দিন বিলুপ্ত হতে চলছে। এক সময়ে খাল-বিলে এই ধর্মজাল দিয়ে মাছ শিকার করা হতো। বর্তমানে এই জাল এখন আর আগের মতন চোখে পড়ে না। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের খাল ও বিলের পানি কমে যাওয়া এবং পানি প্রবাহ ক্ষীন হওয়ায় এগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে মাছের বিচরন ক্ষেত্র না থাকায় দেশী প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হচ্ছে। মাছ না থাকায় এই পেশার জেলেরা অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। উপজেলার পূজাখোলা এলাকায় খালের পাশে এই জাল দিয়ে মাছ ধরা দৃশ্য দেখা গেছে। তবে কাংখিত মাছ পাচ্ছে না। উপজেলার বিভিন্ন খাল-বিল সংস্কার না করায় নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে। খালগুলো সংকুচিত হয়ে যাওয়া এবং পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় কোন মাছই পাওয়া যাচ্ছে না। প্রায় ২০ বছরের ব্যবধানে সব কিছুই পরিবর্তন হয়ে গেছে। উপজেলার বিভিন্ন খালে-বিলে এক সময় প্রচুর মাছ পাওয়া গেলেও এখন আর আগের মত অবস্থা নেই। ফলে পেশার সঙ্গে জড়িত জেলেরা অন্য পেশায় জড়িত হচ্ছে। ধর্মজাল বা ভেসাল জাল দিয়ে মাছ শিকার করার দৃশ্য এখন দূর্লভ হয়ে গেছে। উপজেলার আরজবেগী, রণগোপালদী, আলীপুরা, বড়গোপালদী, মর্দনা, বহরমপুর, আদমপুর,নেহালগঞ্জ, গছানী, দাসপাড়া, আমতলা, বাঁশবাড়িয়া, ঢনঢনিয়া, নিজাবাদ গ্রামের খালে-বিলে এই ধর্মজাল দিয়ে মাছ ধরতো। এখন আর এই জাল দিয়ে মাছ শিকার করতে তেমন দেখা যায় না। আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন দিন এই গ্রামীন ঐতিহ্য বিলুপ্ত হতে চলছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত