
দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের আরজবেগী গ্রামের সফল কৃষি উদ্যোক্তা আবু জাফর চৌকিদার নতুন প্রযুক্তি কোকো পিটের মাধ্যমে মাটি ছাড়া পলিনেট হাউজে ট্রেতে বিভিন্ন ধরনের চারা উৎপাদন করেছে। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি কোকো পিটে মাটি ছাড়া পলিনেট পদ্ধতি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের এই চারা উৎপাদন করছে। এই উদ্যোক্তা চারা উৎপাদন ও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে এই আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করছে। বর্ষা মৌসুমে ফসলি জমিতে দীর্য সময় জলাবদ্ধতা থাকায় চারা উৎপন্ন করা সম্ভব হয় না। অবিরাম বর্ষনে অনেক চারাই নষ্ট হয়ে যায়। বারো মাসই ফসল উৎপাদন করতে বিভিন্ন ধরনের চারার প্রয়োজন হয়। কোকো পিটে মাটি ছাড়া পলিনেট পদ্ধতিতে চারা উৎপন্ন করা সম্ভব হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে বোম্বাই মরিচ, দেশী মরিচ,বারোমাসী ফুল,ফল চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। কোকো পিট পদ্ধতিতে মাটি ছাড়া পলিনেটে প্রায় ২ হাজার চারা উৎপাদন করে আবু জাফর চৌকিদার কৃষি উদ্যোক্তা হিসাবে চমক দেখিয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ জানান,নারিকেলের ছোবড়া ভিজিয়ে ট্রেতে রেখে বীজ বপন করার পর নির্দিষ্ট সময়ে চারা উৎপন্ন হয়। এই পদ্ধতিতে কোন মাটির প্রয়োজন হয় না। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারনে উপজেলায় ফসল উৎপাদন ও কৃষকদের জীবন এবং জীবিকায় উৎপাদনমুখী চিন্তা প্রভাবিত করেছে। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারনে সবজির চারা উৎপাদন করা সম্ভব হয় না। ফলে উচু কৃষি জমি এবং জলাবদ্ধ জমির উপর পলিনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের চারা উৎপাদন করা সম্ভব হবে। চারা উৎপাদনে পলিনেট ব্যবহার করায় কৃষক ও কৃষিতে নতুন করে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। উপজেলায় বিভিন্ন ধরনের চারার চাহিদা রয়েছে। চারার চাহিদা মেটাতে দেশের অন্য জেলা থেকে কৃষকরা চারা সংগ্রহ করতো। এতে খরচের পরিমান বেড়ে যেত। খরচ বাচাতে কৃষকরা নিজেরাই কৃষি দপ্তরের পরামর্শে পলিনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন চারা উৎপন্ন করছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের পরামর্শে উপজেলার সদর ইউনিয়নের আরজবেগী গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা আবু জাফর চৌকিদার কোকো পিট পদ্ধতিতে মাটি ছাড়া পলিনেট ব্যবহার করে চারা উৎপাদন করছে। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের কারনে চারা উৎপাদনে রোগবালাইয়ের আক্রমন, কীটপতঙ্গের প্রতিরোধসহ নানাবিধ সুবিধার জন্য কৃষকরা পলিনেট ব্যবহার করে চারা উৎপাদন করছে। উপজেলায় পলিনেট ব্যবহার করে বারোমাস বিভিন্ন ধরনের সবজির চার উৎপাদন করা যাবে বলে কৃষি বিভাগ আশা প্রকাশ করছে। প্রবল বর্ষন, জলাবদ্ধতা তীব্র তাপদাহ, কীটপতঙ্গ ও ভাইরাসজনিত রোগ থেকে চারা রক্ষার জন্য কোকো পিটের মাধ্যমে মাটি ছাড়া পলিনেট ব্যবহার করে চারা উৎপাদনে কৃষিতে পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে।
এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.জাফর আহমেদ জানান,চারা উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তির কোকো পিট পদ্ধতিতে মাটি ছাড়া পলিনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের চারা উৎপাদন উপজেলায় প্রথম। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে উপজেলার অন্যান্য ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক-কিষানীরা সারা বছরই চারা উৎপন্ন করতে পারবে।

