
আহাম্মদ ইব্রাহিম অরবিল, দশমিনা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের সূতাবাড়িয়া নদীতে স¦াধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও ব্রিজের অভাবে হাজার হাজার মানুষের চরম দূর্ভোগ ও সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। শুধুমাত্র ব্রীজটি না থাকায় সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে। জেলা সদর পটুয়াখালী সহ দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলার হাজার হাজার মানুষ মাত্র ব্রিজের অভাবে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। বর্তমানে হাটু পরিমান পানির মধ্যে দিয়ে খেয়া নৌকায় উঠে নদী পারপার হতে হয়। ব্রিজটির নির্মান কাজ ধীরগতিতে চলছে। সংযোগ সড়কের কাজ অর্ধ সমাপ্ত অবস্থায় রয়েছে।
উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের সূতাবাড়িয়া নদীর উপর সেতু নির্মান না করায় দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলা সদরের মানুষ তাদের ভাগ্য পাল্টাতে পারছে না। বর্তমানে নদীর দুই প্রান্তে মানুষসহ যাত্রীরা নৌকা ও ট্রলারে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হচ্ছে। প্রতিদিন অত্র এলাকার বাসিন্দারা ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এভাবেই নদী পার হতে বাধ্য হচ্ছে। এছাড়া মটর সাইকেল ও বাইসাইকেল যাত্রীদের পড়তে হয় মহা বিপদে। এভাবে পারাপার করতে গিয়ে প্রায়ই দূর্যটনা ঘটছে।
বিগত ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আলীপুরা নদীতে একটি ব্রিজ নির্মানের পরিকল্পনা ছিল। তৎকালিন সময়ে সমীক্ষা চালিয়ে ব্রিজ নির্মানের স্থান নির্বাচিত করা হলেও পরবর্তীতে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। নদীর পূর্ব প্রান্তে খেয়াযাটের পার্শ্বে দশমিনা এবং পশ্চিম প্রান্তে গলাচিপা উপজেলা থেকে আসা টেম্পু ও টমটম থেকে যাত্রীরা নেমে নদী পারপার হয়। অথচ ব্রিজটি নির্মিত কাজ শেষ হলে বিভিন্ন যানবাহন সরাসরি গন্তব্যে যেতে পারতো। এতে সাধারন মানুষের সময় ও অর্থের অপচয় কম হতো। ব্রিজ না থাকায় বর্তমানে উল্লেখিত ২টি উপজেলার বাসিন্দারা কষ্ট করে খেয়া নৌকায় যাতায়াত করছে। এতে যাত্রীসহ সাধারন মানুষের সময় ও অর্থ অপচয়ের পাশাপাশি চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
খেয়াযাট নামে পরিচিত আলীপুরা নদীর দুই প্রান্তে যাত্রীদের জন্য কোন যাত্রী ছাউনি নেই। ফলে ঝড়-বৃষ্টির সময়ে সকলেরই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এলাকাবাসীর অভিমত, আলীপুরা নদীর উপর ব্রিজ নির্মিত হলে দশমিনা, গলাচিপা উপজেলাসহ অত্র অঞ্চলের কৃষকদের ভাগ্য পাল্টে যাবে। ২টি উপজেলার বাসিন্দাদের দীর্যদিনের দাবির প্রেক্ষিতে নদীর উপর ব্রিজ নির্মানের কাজ চলছে। নির্মান কাজ বর্তমানে ধীরগতিতে চলছে।
জেলা সদর পটুয়াখালীর সাথে সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে আলীপুরা নদীর এই খেয়াঘাটটি গুরুত্বপূর্ন বলে বিবেচিত হলেও কোন আশাই পূরন হচ্ছে না। উপজেলা সদরে কোন কাজে আসতে হলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হতে হয়। ফলে ২টি উপজেলার হাজার হাজার মানুষের দূর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। আলীপুরা ইউনিয়নের বাসিন্দারা নদীর উপর জরুরী ভিত্তিতে ব্রিজটি নির্মান সম্পন্ন করার জন্য দাবী জানিয়েছে।