
দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে একটানা প্রবল বর্ষনের ফলে রোপা আমনের বীজতলা পানির নিচে ডুবে গেছে। ফলে রোপা আমনের চারার সংকট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চারার অভাবে চাষিরা এবার আমন চাষ নিয়ে বিপাকে পড়তে পারে। একটানা অবিরাম বর্ষনের ফলে উপজেলার বেশির ভাগ জমির রোপা আমনের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে চারার সংকটে চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়তে পারে। পানিতে ডুবে থাকায় নতুন করে বীজতলা তৈরি করা চাষীদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,অবিরাম বর্ষন ও জোয়ারের পানিতে তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর শাখা খালের প্রায় ২২টি স্থান দিয়ে পানি ঢুকে বাঁশবাড়িয়া, বহরমপুর, বেতাগী সানকিপুর, আলীপুরা, দশমিনা, রনগোপালদী ও নদী বেষ্টিত চরবোরহানের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। চলতি বছর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে বিভিন্ন জাতের ১৮হাজার ১৭২ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৬০ হেক্টর রোপা আমনের বীজতলার ক্ষতি হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। বাঁশবাড়িয়া, বহরমপুর, বেতাগী সানকিপুর, আলীপুরা, দশমিনা, রনগোপালদী ও নদী বেষ্টিত চরবোরহানে আমনের খেতে পানি থাকায় চারা বোপন করতে দেরি হচ্ছে। বাঁশবাড়িয়া গ্রামের কৃষক নুর হোসেন বলেন, অতি বৃষ্টির পানিতে আমনের বীজতলা ডুবে গেছে। এখন প্রতি কেজি আমনের চারা কিনতে ৭শ’ থেকে হাজার টাকায় প্রয়োজন হবে। ফলে চাষের খরচ বাড়তে পারে। দক্ষিন দাসপাড়া গ্রামের কৃষক শংকর চন্দ্র শীল বলেন, প্রায় চার একর জমিতে রোপা আমন রোপন করবো। পানিতে সব বীজতলা ডুবে রয়েছে।
এই বিষয়ে দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.জাফর আহমেদ বলেন,বর্ষার পানি নেমে গেলে চারার কোন ক্ষতি হবে না। এছাড়া কোন জমিই আমন চাষ থেকে বাদ পড়বে না। প্রয়োজনে গোছি কম দিয়ে হলেও আমন চাষ করা হবে।