দশমিনা (পটুয়াাখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনা সরকারি আব্দুর রশিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক রাসেদুল ইসলাম রাজিবের বাবা মো. শাহ আলম প্যাদা গংদের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের বসত বাড়ির জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চরহোসনাবাদ গ্রামের পল্লী চিকিৎসক নেপাল চন্দ্র শীলের বসত বাড়িতে ওয়ারিশ মূলে মালিক দাবী করে বিক্রির জন্য জমিতে সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছে।
জানা যায়, ২০১৪ সালে চরহোসনাবাদ মৌজার ৫৯ নম্বর খতিয়ানের ১৮১২ নম্বর দাগে ওয়ারিশ মূলে মালিক হাবেজা বিবি দেড় শতাংশ জমি নেপাল চন্দ্র্র শীলের নিকট বিক্রি করেন। জমি ক্রয়ের পরে হাবেজা বিবি বিক্রি কৃত জমি নেপাল চন্দ্র শীলকে ভোগ দখল বুঝিয়ে দেয়। সেই জমিতে মাটিভরাট করে নতুন পাকা বাড়ি নির্মান ও নানা জাতের ফলজ এবং বনজ গাছ রোপন করে দীর্ঘ বছর পর্যন্ত বসবাস করে আসছেন। নানাভাবে হয়রানিসহ সংখ্যালঘু নেপাল শীলের পরিবারকে উচ্ছেদের পায়তারা চালিয়ে আসছেন দশমিনা সরকারি আব্দুর রশিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজ ছাত্র দলের আহবায়ক রাসেদুল ইসলাম রাজিবের বাবা শাহ আলম প্যাদা গংরা। এই ঘটনায় সংখ্যালঘু ভুক্তভোগী পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এই বিষয়ে দশমিনা সরকারি আব্দুর রশিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক রাসেদুল ইসলাম রাজিবের বাবা শাহ আলম প্যাদা বলেন, কাগজপত্রে জমি পাইলে সাইনবোর্ড ও জমিতে বেড়া তুলে ফেলা হবে। সে এখানে এত জমি পাবে না। কারন দাগের হিস্যায় বেশি দখলে আছে। নানা ভাবে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে সমাজে আমাদের হেয় প্রতিপন্ন করে আসছেন।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী নেপাল চন্দ্র শীল জানান, আমার কবলা জমির মধ্যে রোপনকৃত দুইটি গাছ নিয়ে তারা দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ করে আসছে। স্থানীয়ভাবে অনেক সালিশী ব্যবস্থা হয়েছে। সালিশ ব্যবস্থায় তারা কোন কিছুই মানে না। আমি সনাতনী হিন্দু বলে আমাকে তারা ভয়ভীতিসহ নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। আমি নিরুপায় হয়ে আছি।
এই বিষয়ে দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আলীম জানান, লিখিত অভিযোগ হাতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দশমিনায় সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে হিন্দু পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা

Leave a comment