
দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে গ্রামীন বাংলার লাঠির ঘুঁটে এখন কেবল স্মৃতি হয়ে গেছে। গ্রামের গৃহবধুরা শীতকালে গোবর দিয়ে পাটকাঠির সাথে আটকে দিয়ে রোদে শুকিয়ে এই জ্বালানী তৈরি করতো। গ্রাম বাংলায় যুগ যুগ ধরে গোবরের তৈরি এই ঘুঁটে রান্নাবান্নার কাজে জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করা হয়। বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিস্কার ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রাম বাংলা থেকে এই জ্বালানী এখন উঠে গেছে। তবে শীতকালে জ্বালানীর কাঠ সংকটে থাকায় এর বিকল্প হিসাবে গ্রামীন জনপদে এখনও লাঠির লাঠির ঘুঁটে ব্যবহার করা হয়।
উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এই ঘুঁটে জ্বালানী তৈরি করতে দেখা যায়। বিশেষ করে যেখানে কাঠের জ্বালানী সংকট রয়েছে সেই সমস্ত এলাকায় এখনও এই বিকল্প লাঠির ঘুঁটের দেখা মিলে। দক্ষিনাঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষায় এই জ্বালানীকে ঘৈটা বা মুইট্রা বলা হয়। শীত মৌসুম এলেই ঘরের পাঁচিলে গোবর দিয়ে ঘৈটা বা ঘুঁটে তৈরি করতে দেখা যায়। আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রামের এখনকার গৃহিনীরা রান্নায় গ্যাস,মাইক্রোওয়েভ কিংবা রাইস কুকারসহ নানা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। বর্তমানে ঘুঁটে তৈরির এই সব দৃশ্য গ্রামাঞ্চলে খুব কমই দেখা যায়। গ্রামের গৃহিনীদের দৈনন্দিন জ্বালানীর জন্য এই ঘুঁটে শুধু রান্নার জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে অনেক এলাকায় এটিকে লাঠি ঘইড্রা হিসাবে চিনে থাকে।
গ্রামীন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সদরের বাসিন্দা ও প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আহাম্মদ ইব্রাহিম অরবিল বলেন,এক সময়ে আমার বাড়িতে কাঠের বিকল্প হিসাবে লাঠির ঘুঁটে রান্নার জন্য ব্যবহার করা হয়ে ছিল। অত্র এলাকা উপজেলায় উন্নীত হবার পর এবং আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়ে জ্বালানী হিসাবে লাঠির ঘুঁটে প্রত্যন্ত গ্রামে কদাচিৎ দেখা যায়। বিকল্প জ্বালানী লাঠির ঘুঁটে এখন কেবল স্মৃতিপটেই থেকে যাবে।

