আহাম্মদ ইব্রাহিম অরবিল,দশমিনা(পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ন ফসলি জমি ছাড়াও অর্ধ শতাধিক চরাঞ্চলে ক্ষেত তরমুজে ছেয়ে গেছে। গত বছরের তুলনায় এই বছর আবাদও বেড়েছে এবং বাম্পার ফলন হয়েছে। তেঁতুলিয়া নদীর তীরবর্তী এলাকাসহ চরবোরহান, চরঈশান, বাসুদেবপাশা, চরকচ্ছবিয়া, চরওয়াডেল, রায়সাহেবের চর, চরশৌলাসহ বিভিন্ন চরে এখন বাঙ্গি, ক্ষীরা ও তরমুজের সমারোহ বিরাজ করছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন রবি ফসলের সঙ্গে চলতি মৌসুমে ৫০ হেক্টরে ক্ষীরা, ৪০ হেক্টরে বাঙ্গি ও ৩০০ হেক্টরে তরমুজের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত করা হয়। তবে তরমুজে এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে ৫শ’ হেক্টরেরও বেশী। গত বছর আবহাওয়া অনুকলে না থাকায় লাভের মুখ দেখেননি তরমুজ চাষিরা। পাশের উপজেলা গলাচিপার চরকাজল ও ভোলা জেলার চরফ্যাশনের নুরাবাদ থেকে এসেও কয়েক চাষি এই বছর উপজেলার বিভিন্ন চরে বাঙ্গি, ক্ষীরা ও চরমুজের চাষ করছেন।
তেঁতুলিয়ার বুক চিরে জেগে উঠা চরকচ্ছবিয়ায় তরমুজ চাষের দীর্ঘ ১৫-১৬ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাচ্ছেন পাশের গলাচিপা উপজেলার চরকাজলের চাষি বাবুল খান। প্রায় ২৫ একর জমি লীজ নিয়ে সামান্য ক্ষীরা, শসাসহ হীরা জাতের তরমুজের চাষ করেছেন। অতি জোয়ার, লবন পানির হানা আর একই জমিতে বারবার কীটনাশক ও সার,ওষুধ ব্যবহারের কারণে নিজ এলাকায় আগের মতো এখন আর তরমুজের ভাল ফলন না হওয়ায় চরকাজল থেকে এসে এই চরে তরমুজ চাষের কারন উল্লেখ করেন তিনি। বাবুল খার কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন স্থানীয় বিভিন্ন চরের তরমুজ চাষিরা। একই চরে ৫ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন তাঁতেরকাঠি গ্রামের শহীদ ফরাজি। একই চরে বাকলা গ্রামের তরমুজচাষি ফিরোজ চৌধুরী জানান, ধান চাষে এখন আর লাভের মুখ দেখা যায় না। জলবায়ু পরিবর্তণের কারণে দিন দিন কৃষিতে বিপদ-আপদ বাড়ছে। রোগবালাই আর অতিজোয়ার কিংবা শীলা-বৃষ্টির মতো বৈরী আবহাওয়া না হওয়ায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ জানান, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এই বছর তরমুজের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় চাষিরা বাঙ্গি, ক্ষীরা ও তরমুজের বাম্পার ফলন পেয়েছে।