দীপক কুমার সরদার, বাজুয়া : খুলনার দাকোপ উপজেলার বাজুয়া ইউনিয়নের চুনকুড়ি মৌজার ৪ নং ওয়ার্ডের নলবুনিয়া খাল অবৈধ দখল কারিদের উচ্ছেদ করে পূর্ণ খননের দাবি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে গণপিটিশন দাখিল করেছেন এলাকাবাসী। অবৈধ দখল আর বাধ দিয়ে ঘরবাড়ি, পুকুর, রাস্তা গড়ে তুলেছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এর ফলে কোটি কোটি টাকার তরমুজ চাষসহ ফসলহানির শিকার হচ্ছে ঐ এলাকার সাধারণ কৃষকসহ সলফো আয়ের সাধারণ মানুষ। প্রভাবশালী এসব দখলদারদের বিরুদ্ধে এবার ফুসে উঠেছে স্থানীয় মানুষ।
গত ৩ এপ্রিল নলবুনিয়া খাল পূর্ণ খনন ও দখল দারদের উচ্ছেদের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টু বিশ্বাসের নিকট গণ পিটিশন দাখিল করেছেন এলাকার কৃষক সহ সাধারণ জনগন। তাদের দাবি
চুনকুড়ি নলবুনিয়া খালের উপর নির্ভরশীল হয়ে কৃষিকাজ ও মৎস্য আহরন করে জীবিকা নির্বাহ করতো এলাকার সাধারণ মানুষ। কিন্ত বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৩৩নং পোল্ডারের বেঁড়িবাধ উন্নয়নের সময় পুনরায় গেটটি নির্মাণ না হওয়ায় এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা খালটি জমি ভুক্ত হয়েছে বলে দখল করে গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন স্থাপনা। চুনকুড়ি নলবুনিয়া খালের অস্তিত্ব এখন শুধু মানচিত্রে দখল বেদখলে পুকুরে পরিণত হয়েছে। প্রথমে দেখলে মনে হবে একটি করে পুকুর। কিন্তু না! এটি দাকোপ উপজেলার বাজুয়া চুনকুড়ি মৌজার নলবুনিয়া খাল। এই নদী ও খাল চলে গেছে ভূমিদস্যুদের দখলে। নদীর বুকে দখলদাররা নেটের ঘেরা দিয়ে করছে ঘরবাড়ি, রাস্তা, পুকুর, চাষাবাদ বিভিন্ন ফসলি গাছ-গাছালি। আবার কোথাও-কোথাও সম্পূর্ণ ভরাট করে অস্তিত্ব বিলীন করে দেওয়া হয়েছে খালের বর্তমানে শুধু মানচিত্রেই ঠাঁই হয়েছে এ নদী ও খালটির। প্রথমে দেখলে মনে হবে প্রতিটি বাড়ির সামনে একটি করে পুকুর।
অভিযোগ উঠেছে, সরকারি নদী ও খাল রক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিলেও বাস্তবে এ নদী ও খাল রক্ষায় কোন গুরুত্বারোপ করেনি সংশ্লিটরা। স্থানীয় জমির মালিক ও কৃষকরা বলেন, যে নদীকে কেন্দ্র করে বিক্ষাতো তরমুজ চাষ সমৃদ্ধ জনপদ গড়ে ওঠে ওই এলাকায়, সেই নদীই এখন মৃত। খালে পানি না থাকায় তরমুজ চাষীরা পরেছে বিপাকে। মধ্যে পথে তরমুজ চাষীরা ক্ষেত ছেড়ে দিয়েছে।
এমন অবস্থায় ভূমিদস্যুদের হাত থেকে নলবুনিয়া খালটি ও পাশ্ববর্তী খাল পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। অন্যদিকে নদী ও খাল রক্ষার্থে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মানস কুমার রায় বলেন, সরকারি খাল হিসেবে থাকলেও বর্তমানে খালের জায়গা বিভিন্ন ব্যক্তি দখল করে রেখেছে। এলাকাবাসী, জমির মালিক, কৃষকের সরকারের কাছে দাবি নলবুনিয়া খালটি পুন:খনন করে কৃষি ও কৃষিকাজের ব্যবহারের উপযোগী করা হোক।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত