দীপক কুমার সরদার, বাজুয়া : খুলনার দাকোপের বাজুয়ায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ, নিম্ন-মধ্যবিত্তের হাহাকার তাদের পাতে এখনো উঠিনি ইলিশ। চলছে ইলিশের মৌসুম। চারদিকে যেন ইলিশের ছড়াছড়ি। তবে নিম্ন-মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে লোভনীয় এই মাছ। শুধু ইলিশই নয়, হরেক রকম মাছে ভরপুর বাজার। কিন্তু ইলিশের মতোই নাগালের বাইরে অন্য সব মাছের দামও। এদিকে সবজির দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে আলু-পেঁয়াজের দাম। আর আগের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম। দাকোপের চালনা বাজার, পোদ্দারগঞ্জ বাজার, বাজুয়া, কৈলাশগঞ্জ, লাউডোব, বানিশান্তা, কালিনগর, কামারখোলা, তিলডাংগা, চুথরখালি বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের এমন দাম জানা গেছে। বাজুয়া চড়ার বাঁধ বাজারের মাছ বিক্রেতা রবিন শীল বলেন, বাজারে এখন প্রতিদিনই ইলিশ মাছ আসছে। এক কেজিতে ছয়-সাতটা হবে এমন মাছের দাম চাওয়া হচ্ছে ৬০০ টাকা, চারটায় এক কেজি সাইজের মাছ ৮০০ টাকা, তিনটায় এক কেজি সাইজের মাছ ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা, এক কেজি সাইজ হলে ১৬০০ টাকা, ওজন আরও একটু বাড়লে তার দাম ১৮০০ টাকা। লাউডোব বাজারের মাছ বিক্রেতা হরি, মহাদেব, স্বপন বলেন, এই বাজারে তেলাপিয়া মাছ ১৮০ থেকে ২০০, রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, টেংরা ৫০০ ও ৬০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ টাকা, পার্শে মাছ ৭০০ টাকা, টাকি মাছ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙাশ ২০০ টাকা, তুলার ডাটি ৫০০, বেলে ৬০০ টাকা, তপসে ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাগদা চিংড়ি ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, পুঁটি মাছ ৩০০ টাকা। এছাড়া দেশি কৈ, শিং ও মাগুর মাছ ৭০০ টাকা, ভেটকি মাছ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই ব্যবসায়ীরা বলেন, আড়তে যে মাছ আসছে তা দিগরাজের বাজারের জন্য যথেষ্ট। আমাদের বেশি দাম দিয়ে ঐখান থেকে কিনে আনতে হয় তারপর আনতে যে খরচ তাই দাম কমে না। বাজুয়া বাজারে মাছ কিনতে আসা যাদব গাইন বলেন, মাছ খাওয়ার কোনো উপায় নেই। সব মাছে বরফ দেওয়া থাকলেও তা থেকে যেন আগুন ঝরচ্ছে। এখন ইলিশ মাছের দাম কমার কথা কিন্তু কমার পরিবর্তে দাম যেন প্রতিদিনই বেড়ে যাচ্ছে। দাকোপের বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি সপ্তাহে বাজারে ঝিঙে ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, কাঁচকলা হালি (৪টি) ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, উচ্ছে ৮০, মিষ্টি কুমড়া ৩০, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, খিরা ৬০ টাকা, কুশি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজুয়া বাজারের সবজি বিক্রেতা হাবিল হোসেন বলেন, বাজারে বেশ কিছুদিন ধরেই আলু বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকা দরে। তখন যে পরিমাণ সরবরাহ ছিল এখনো তার চেয়ে কমতি নেই। কিন্তু এখন পাইকারি দাম বেড়ে যাওয়ায় ৫০ টাকার নিচে আলু বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। চালনা থেকে আসা পাইকারি সবজি বাজারের আড়তদার সোহেল পাটোয়ারী বলেন, আলুর কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু মোকাম থেকেই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আলুর দাম। কিছু দিন আগে ৩৮ টাকা দরে আলু বিক্রি হয়েছে এই বাজারে। সেই আলু এখন ৪২/৪৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত