প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গিকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। এ নির্দেশনাকে বাস্তবায়ন করতে খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অতন্দ্র পহরীর মত কাজ করে চলেছে। তারই প্রেক্ষিতে গতকাল ১৭ জুলাই সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো: আলতাফ হোসেন দাকোপ উপজেলার কামারখোল ইউনিয়নের শ্রীনগর গ্রামে যান। সেখানে দেখতে পান অনুপ কুমার রায়ের স্ত্রীর নামে আবেদন করা একটি দোকানে সামান্য দুরত্বের জন্য মিটার পাচ্ছে না। তিনি তাৎক্ষণিক ভাবে নির্দেশ করায় ঠিকাদার মুহূর্তের মধ্যে মিটারে সংযোগ দেন। এ দৃষ্টান্ত দেখে ওই এলাকার মানুষ ভিষন খুশী হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আজিজুস সালাম এবং দাকোপ সাব-জোনাল অফিসের এ জি এম কুমুদ রজ্ঞন দেবনাথসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় সুধিজন।
এ নিয়ে জেলার প্রায় তিন লাখ গ্রাহক পল্লী বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গেছে বিদ্যুতের আলো। তৃণমূলের মানুষও আজ বিদ্যুতের আলোয় উদ্ভাসিত। কামার, কুমার, ঋষি, জেলে থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি পেষার মানুষ রাতের আঁধার ঠেলে ফেলে আজ বৈদ্যুতিক আলোয় বসে নিজ নিজ পেষার কাজ করে চলেছেন। জেলেরা জাল বুনছেন। কামার হাতুড়ি শাবল কোদাল তৈরী করছেন। ঋষি বাঁশ দিয়ে ঝুড়ি, পোলো, ঢাকনা, খালইসহ বিভিন্ন মালামাল তৈরীতে ব্যস্ত থাকেন। আজ বস্তীবাসীরাও বিদ্যুতের সুযোগ পেয়ে টেলিভিশনে অনুষ্ঠান দেখেন মধ্যরাত অবধি। যারা সূর্য ডুবার সাথে সাথে খেয়ে ঘুমাবার জন্য ব্যস্ত থাকতেন তারা আজ রাত জেগে দেশ বিদেশের খবর দেখেন। ঘরে বসেই অনেকে কাজ করে অর্থ উপার্যন করছে। জীবন জীবীকার সন্ধ্যানে ঘরের বাইরে যেতে হচ্ছে না। তাছাড়া করোনার দুর্যোগে টেলিভিশন দেখেও অনেকে সুস্থ রয়েছেন।
খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি শতভাগ বিদ্যুৎ ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে। বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার প্রত্যাশায় ফেরি করেও বিক্রি করেছেন। আলোর ফেরিওয়ালা লেখা সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে নিজেরা ভ্যান চালিয়ে মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন। গ্রামের ওলিগলিতেও তারা প্রবেশ করতেন। গ্রাহকরা চাহিদা জানালেই মুহূর্তের মধ্যে যাবতীয় কাজ সেরে মিটার বসিয়ে বৈদ্যুতিক আলো জ্বেলে দিয়ে অন্যত্র ছুটতেন। এখন চলছে নতুন নতুন ঘরে সংযোগ দেয়ার পালা।