
বিধান চন্দ্র ঘোষ, দাকোপ (খুলনা) : খুলনার দাকোপে ঠাকুরুন বাড়ি বদ্ধ জলমহালটি এলাকার এক শ্রেনীর কুচক্রী ও স্বার্থন্বেষী মহল ইজারা নিয়ে জবরদখল করে ভোগদখলের পায়তারা করছে বলে অভিযো পাওয়া গেছে। এতে কৃষকদের ফসল উৎপাদন চরম ভাবে ব্যাহত হতে পারে। এমতাবস্থায় জলমহালটি আগামী বাংলা ১৪৩২ সনে জনগণের সার্থে ইজারা বন্ধ রাখার জন্য খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়েছে। সম্প্রতি উপজেলার জয়নগর এলাকার মৃত আরশাদ মোড়লের ছেলে কৃষক হাফিজুর রহমান হাফিজ এ লিখিত আবেদনটি দায়ের করেন।
লিখিত আবেদন সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরুনবাড়ি বদ্ধ জলমহালটি উপজেলার শ্রীনগর কালিনগর মৌজায় ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ১৪২০, ১০৯০, ১৪৩৩, ৯৫২ ও ৯৩৯ দাগে ২১.০৭ একর এবং জয়নগর এলাকায় অবস্থিত। জলমহালের (খাল) দুই পাশের্^ প্রায় চার হাজার বিঘা আবাদ যোগ্য জমি রয়েছে। এই খালের পানি ব্যবহার করে এলাকার হাজারো কৃষক ওই চার হাজার বিঘা জমিতে ফসল উৎপাদন করে থাকে। এ ছাড়া গবাদি পশুসহ খালের দুই পাশের্^র জনসাধারণের নিত্য নৈমেত্তিক কাজে এই খালের পানি ব্যবহার করে আসছে। তা ছাড়া খালটির ঠাকুরনবাড়ী বদ্ধ জলমহাল নাম করন করা হলেও ওই এলাকার পানি নিষ্কাশনে ২টি স্লুইচ গেইট, ৮টি ইউ ড্রেন এবং ১টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেইট রয়েছে। আবার খালটিতে এলাকার অধিকাংশ মানুষের অমিষের চাহিদাও পুরন হয়।
কৃষক হাফিজুর রহমান হাফিজ জানান, নানা কারণে এলাকার কৃষক শ্রেনী পেশার মানুষের ঠাকুরুন বাড়ি খালের পানি খুবই প্রয়োজন। এ ছাড়া বৃষ্টি মৌসুমে জলবদ্ধতা নিরসনে খালটি জনসাধারণের জন্য মারাত্মক ভুমিকা পালন করে খাকে। তাই তিনি কৃষকের ফসল উৎপাদনের স্বার্থে জলমহালটি আগামী বাংলা ১৪৩২ সনে জনগণের স্বার্থে ইজারা বন্ধ রাখার জন্য খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন।
এব্যাপারে উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ জুবায়ের জাহাঙ্গীর এ প্রতিবেদকে বলেন, অনুলিপির কপি পেয়েছি। যেহেতু ২০ একরের উর্দ্ধে সেহেতু জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দপ্তর থেকে যে সিদ্ধান্ত নিবে সেটাই বাস্তবায়ন করা হবে।