বিধান চন্দ্র ঘোষ, দাকোপ : খুলনার দাকোপে এলজিইডির গ্রামিন সড়কটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। চালনা বৌমার গাছতলা হতে পানখালী ফেরিঘাট পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ মরণ ফাঁদে পরিনত হলেও যেন দেখার কেউ নেই। ছোট বড় খানা-খন্দকে ভরা সড়কটিতে বর্তমানে যানবাহন ও জনচলাচলে সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়লেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, এক সময়ে খুলনা জেলা শহরের সাথে উপজেলা সদরের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম ছিলো এই সড়কটি। সড়কটি ২০২০-২১ অর্থ বছরে পল্লী সড়ক ব্রীজ ও কালভার্ট মেরামত প্রকল্পের আওতায় মেরামত করা হয়। চালনা কে.সি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোড় হতে পানখালী ফেরিঘাট অভিমুখে আড়াই কিলোমিটার সড়ক মেরামতে ব্যয় হয় ১ কোটি ১৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। কিন্তু মেরামতের দুই বছরের মধ্যেই চালনা বৌমার গাছতলা হতে পানখালী ফেরিঘাট পর্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ এই গ্রামিন সড়কটি আবার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। সেই থেকে সড়কটির উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ যানবাহন ও জনচলাচল করে আসছে। বর্তমানে পিচ ঢালাই উঠে সড়কটিতে ছোট বড় খানা-খন্দকের সৃষ্টি হওয়ায় জনচলাচলের অনুপযোগী হয়ে মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। এমনকি সড়কটিতে যানবাহন চলাচলতো দুরের কথা পায়ে হেটে চলাচলও অসম্ভব হয়ে পড়েছে। যে কারণে সড়কটিতে অহরহ দুর্ঘটনা লেগেই আছে। ইতি মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গুরুতর আহতসহ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে এঅঞ্চলের অনেক লোক। এলাকাবাসির অভিযোগ নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এবং কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে সড়কটির উপর দিয়ে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ওজনের যানবাহন চলাচল করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
মটর সাইকেল চালক ফাল্গুণী হালদারসহ আরো অনেকে জানান, এখন বিকল্প সড়ক হলেও এক সময়ে খুলনা জেলা শহরের সাথে উপজেলা সদরের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম ছিলো পানখালীর এই সড়ক। অথচ সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বর্তমানে ভ্যান, মটর সাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন হেলে দুলে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে অহরহ দুর্ঘটনা লেগেই আছে। এমনকি লোকজন পায়ে হেটেও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে জনসাধারণের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। সড়কটি সংস্কারে কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগ নেই বলে তিনি জানান।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগামী জুলাই মাসে সড়কটি সংস্কারের জন্য নকসাসহ বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রনায়ে পাঠানো হবে। অনুমোদন হলে আগামী ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারীতে কাজ শুরু হবে। তবে লোকবল সংকটের কারণে একটু বিলম্ব হচ্ছে।
দাকোপে বৌমার গাছতলা হতে পানখালী ফেরিঘাট সড়কটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ

Leave a comment