
দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি : ভারতে পাচারের প্রস্তাব প্রত্যাখান এবং জমি লিখে দিতে রাজি না হওয়ায় স্বামীর বেদম প্রহারে গৃহবধু হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বানিশান্তা ইউনিয়নের খেজুরিয়া এলাকায়। ভুক্তভোগী সুত্রে জানা গেছে, গত ১৫ বছর পূর্বে উপজেলার উত্তর বানীশান্তা এলাকার মৃঃ আমির হোসেন গাজীর কন্যা নাজমা বেগমকে মোংলা উপজেলার শেলাবুনিয়া এলাকার শহিদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়ার বিয়ে হয়। বর্তমানে স্বামী স্ত্রী উভয় বানিশান্তা ইউনিয়নের খেজুরিয়া এলাকায় নিজ বাড়িতে বাস করে। বিয়ের পর কামাল তার স্ত্রীকে নিয়ে দু’দফা ৫ বছর ভারতের বেঙ্গলোরে অবস্থান করে। সেখানে স্ত্রীকে দিয়ে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ডে বাধ্য করে। সর্ব শেষ গত দুই মাস আগে তারা স্বামী স্ত্রী দেশে ফিরে আসে। সম্প্রতি কামাল আবারো ভারতে যাওয়ার জন্য স্ত্রীকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার রাত ৮টার দিকে স্ত্রীর নামে থাকা দুই বিঘা জমি নিজ নামে লিখে নেওয়া এবং ভারতে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। স্বামীর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নাজমা বেগমকে লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করে। এক পর্যায়ে গুরুত্বর আহত হয়ে পড়লে নাজমার ভাই নুর আলম কাজী তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। তার চোখের কোনে গুরুত্বর জখমসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। জানা গেছে তাদের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। এ ঘটনায় নাজমার ভাই নুর আলম বাদী হয়ে আদালতে নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করবেন বলে তিনি এ প্রতিবেদকে জানান।