
সংবাদ সম্মেলনে বীরমুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ
জন্মভূমি রিপোর্ট : দাকোপের পারচালনা এলাকায় বীরমুক্তিযোদ্ধা সতেন্দ্রনাথ মন্ডলের বাড়ীতে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে তার বয়োবৃদ্ধা স্ত্রীর শ্লীলতাহানী, নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও মুল্যবান কাগজপত্র লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। এঘটনায় থানায় যেয়ে লিখিত অভিযোগ দিলেও মামলা হিসেবে গ্রহন করেননি অফিসার ইনচার্জ(ওসি)। উল্টো সন্ত্রাসীদের পক্ষ নেয়ায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বীরমুক্তিযোদ্ধা সতেন্দ্রনাথ মন্ডল। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে হুমায়ূন কবীর বালু মিলনায়তনে এসব অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২১ জুন দিবাগত রাতে দাকোপের পারচালনা এলাকার ফুলচাঁদ মন্ডলের পুত্র গোবিন্দ মন্ডল, আলেক শেখের ছেলে জব্বার শেখ, লতিফ শেখের ছেলে জলিল শেখ, রফিক শেখের ছেলে মতি শেখ, গোবিন্দ মন্ডলের স্ত্রী উর্মিলা মন্ডল, একই এলাকার ফুলমিয়া গাজীর ছেলে আব্দুল কাদের গাজী ও কালিপদ বিশ্বাসের পুত্র সুকুমার বিশ্বাসসহ আরও অজ্ঞাত মুখোশধারী আরও ৫ থেকে ৬জন রামদা, চাকু, শাবল, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়ীর বাউন্ডারির কাটাতারের বেড়া ভাঙচুর করে বাড়ীর ভেতরে প্রবেশ করে। পরে বসত ঘরের টিনের বেড়া ভেঙে ঘরের ভিতরে ঢোকে তারা। তার স্ত্রী রেখা মন্ডল প্রচন্ড শব্দে ঘুম ভেঙ্গে ভয়ে ডাকচিৎকার করার পূর্বেই গোবিন্দ মন্ডল তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে তাকে জীবনে মেরে ফেলতে উদ্ধত হয়। জীবনের ভয়ে আর কোন ডাক-চিৎকার করতে পারেনি সে। তার হাত-পা কাপড় ও গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে ও চড় কিল-ঘুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে গোবিন্দ মন্ডল ও জব্বার শেখ আমার স্ত্রীর শ্লীলতাহানী ঘটানোর চেষ্টা করে। তারা তার স্ত্রীর গলায় থাকা দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও চার আনা ওজনের স্বর্ণের কানের দুল ছিড়ে নেয়।
সম্মেলনে তিনি বলেন, গোবিন্দ মন্ডলের স্ত্রী উর্মিলা মন্ডল আমার স্ত্রীর কাছ থেকে চাবি নিয়ে স্টীলের আলমারী খুলে নগদ ২০ হাজার টাকা ও চার আনা ওজনের এক জোড়া স্বর্নের কানের দুলসহ জমাজমির অনেক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লুণ্ঠন করে নেয়। রাত সাড়ে ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত নারকীয় তান্ডব চালিয়ে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ অর্থ ও মূল্যবান কাগজপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায় তারা।এ ঘটনায় দাকোপ থানায় মামলা করতে গেলেও অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জল কুমার এজাহার হিসেবে তার অভিযোগ গ্রহন করেননি, উল্টো সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওসি। তিনি প্রধানমন্ত্রী’র হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।