ডেস্ক রিপোর্ট : দিঘলিয়ায় পরীক্ষা হলে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীর ছবি তোলা নিয়ে অভিভাবক মহলে উত্তেজনা স্কুল অভিমুখে চড়াও পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ ও নৌবাহিনীর আগমণ
দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া কর্তৃক ৯ম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দেয়াড়া নিবাসী শরিফুলের কন্যা লাবিবার পরীক্ষা হলে ছবি তুলেছেন। আর এই ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে অভিভাবক মহলে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। উত্তেজিত অভিভাবক সাধারণ আমজনতা স্কুলে চড়াও হয়েছে। অভিভাবকরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের চাকুরি থেকে অপসারণসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া। তিনি এ বিদ্যালয়টি সরকারিকরণের পূর্বে ২০১২-১৩ সালের দিকে স্কুল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে এ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি শিক্ষক হিসেবে এ বিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে তার আচার-আচরণ শিক্ষক সুলভ ছিলো না। তার বিরুদ্ধে শিক্ষক-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা সংশ্লিষ্ট অনেক অভিযোগ রয়েছে। যেগুলো মারাত্নক অপরাধ কিন্তু নানা কারণে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহেও জনৈক শিক্ষিকা নিয়েও সংশ্লিষ্ট শিক্ষক গোলাম কিবরিয়ার মারাত্নক ঘটনা ঘটেছে। যা প্রধান শিক্ষক নিষ্পত্তি করেছেন বলে জানা যায়। উক্ত শিক্ষক এ প্রতিবেদককে জানান, আমি ইউএনও স্যারকে জানাতে চেয়েছিলাম কিন্ত স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তি করেছেন যার প্রতি আমি সন্তষ্ট নই। তথাপিও কিবরিয়া সারের সোমবার ঘটে যাওয়া ঘটনায় তার শাস্তি সে পেয়ে গেছে আরও পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এতেই তিনি সন্তষ্ট বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ ফরহাদ হোসেন বলেন, কিবরিয়ার বিরুদ্ধে করা অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম স্যারকে অবগত করিয়েছি। তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। স্যারের প্রাথমিক নির্দেশে তার প্রিভিয়াস রেকর্ড ও বর্তমান অবস্থাকে সামনে রেখে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এবং বিদ্যালয়ের আশপাশে না আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার মোবাইল জব্দ করা হয়েছে কিন্তু সে ছবি মনিটর থেকে মুছে ফেলেছেন। আধুনিক প্রযুক্তির সহযোগিতায় ছবি আনা যাবে এমনটাই জানিয়েছেন বিজ্ঞমহল। দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শাহীন বলেন, পরিবেশ খুবই উত্তপ্ত ছিল। বর্তমান পরিবেশ আমাদের অনুকূলে আছে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ঘটনা অস্বীকার করছেন। তথাপিও তার পিছনের অনেক কর্মকান্ড, ছাত্রীদের সামনাসামনি অভিযোগ ও মোবাইলের ছবির কন্ডিশন দেখে মনে হয় সে অপরাধী তবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন ইউএনও স্যার। যেহেতু তিনি এ প্রতিষ্ঠানের সভাপতি এবং তিনি এ উপজেলার অভিভাবক। তিনি সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে বিদ্যালয়ের আশপাশে না আসার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। পরবর্তী পদক্ষেপ আইনানুগভাবে চলমান থাকবে। অভিভাবকমহল ও এলাকার শিক্ষানুরাগীমহল শিক্ষক গোলাম কিবরিয়ার চাকুরি থেকে চূড়ান্তভাবে স্থায়ী বরখাস্ত ও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে।
দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম বলেন, সেনহাটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শোলাম কিবরিয়ার পিছনের সকল রেকর্ড ও বর্তমান কর্মকান্ডের ব্যাপারে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সে তার কর্মকান্ডের জন্য শাস্তি অবশ্যই পাবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত