জন্মভূমি রিপোর্ট : দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নের চন্দনীমহল নিবাসী আমারুল গাজীর পুত্র রমজান গাজী (৩০) স্ত্রী প্রিয়া (২৫) এর পরকীয়া প্রেমের বলি হয়েছে। সে বিষ পানে খুমেক হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে চিরবিদায় নিয়েছে পৃথিবী থেকে। তবে রমজানের পরিবারের সদস্যদের দাবী রমজানকে ডেকে বাড়িতে নিয়ে বিষ পানে হত্যা করা হয়েছে।
মৃত রমজান গাজীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত রমজান গাজী (৩০) দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়ন এর চন্দনীমহল গাজীপাড়া নিবাসী আমারুল গাজীর পুত্র। রমজান গাজীর মুসলিম শরিয়াহ অনুযায়ী আনুমানিক ৮ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয় বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ফয়লা গ্রামের হারুন মোল্যার কন্যা প্রিয়া (২৫) এর সাথে। বিবাহের কয়েক বছর পর তাদের একটা পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। বর্তমান মৃত রমজানের পুত্র আরিয়ান গাজীর বয়স ৬ বছর। এর মধ্যে রমজানের স্ত্রী প্রিয়া গোপন পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনা জানাজানির পর রমজানের স্ত্রী মাস খানেক আগে কাউকে না জানিয়ে শিশু সন্তানকে ছেড়ে স্বামীর সংসার ত্যাগ করে নিরুদ্দেশের পথে পাড়ি জমায়। পরবর্তীতে রমজান তার স্ত্রীকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কোনো সন্ধান না পেয়ে দিঘলিয়া থানায় একটা জিডি করে।
ঘটনার কয়েকদিন আগে রমজানের শশুর রমজানকে ফোন করে জানায় রমজান তাদের বাড়ি গেলে তার মেয়ের সাথে রমজানকে মিলিয়ে দিবে। রমজান তার স্ত্রীর টানে ও ছেলের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে গত ৫ জুলাই ছুটে যায় বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ফয়লা গ্রামে শশুর বাড়িতে। কিন্তু রমজান তার শশুর বাড়ি গেলে তার স্ত্রী প্রিয়া সাফসাফ জানিয়ে দেয় প্রিয়া তার স্বামীকে তালাক দিয়ে অন্য একজনকে বিবাহ করেছে। সে আর রমজানের সাথে সংসার করবেনা। এ কথা প্রিয়ার মুখে শুনে রমজান মনের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে সেই বাড়িতে থেকে বিষ পান করে। রমজানকে মুমূর্ষু অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রমজান মারা যায়। মৃত্যুকালে তার পাষন্ড স্ত্রী কাছে উপস্থিত ছিল। এমনই দাবী রমজানের শশুর বাড়ির সদস্যদের। সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। তবে রমজানের এই অকাল মৃত্যু মনের থেকে কেউ মানতে পারছে না। কারণ রমজান অর্থশালী না হলেও এলাকার নারী-পুরুষ সর্বমহলের কাছে খুবই প্রিয় মানুষ ছিল। যেটা প্রমাণ দিয়েছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেখানে সেদিন নেমেছিল দিঘলিয়া উপজেলার চন্দনীমহল গ্রামের নারী-পুরুষের ঢল। তাদের ইচ্ছা তাদের এই প্রিয় মানুষটিকে একনজর দেখার। কিন্তু তার সাথে যে মেয়েটি এত বছর ঘর করল সে বুঝতে পারলনা। আর বুঝবে কি করে। পরকীয়ার টানে রমজানের স্ত্রী প্রিয়া তো অবেগে লিপ্সায় মহান্ধ হয়ে গেছে। সবার এখন একটায় জিজ্ঞাসা রমজানের মৃত্যু রহস্য নিয়ে। রমজানের মৃত্যু বিষ পানে আত্মহত্যা না বিষ পান করিয়ে হত্যা? মৃত রমজানের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় কেএমপি সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটা অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। রমজানের অপমৃত্যু হয়নি। তাকে বিষ পানে হত্যা করা হয়েছে। আমরা অতি শিঘ্রই মামলা করব।