
জন্মভূমি ডেস্ক : দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতেই সর্বজনীন পেনশন স্ক্রিম চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের মানুষের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য। মানুষকে অন্ন-বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও উন্নত জীবন দেবেন, সেই চিন্তা নিয়েই তিনি এতোটা সংগ্রাম করেছেন। শোকের মাসে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করে আমরা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার সংগ্রামের পথ বেয়েই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, জাতি হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি। আমরা যদি স্বাধীনতা না পেতাম তাহলে আমাদের কোনো পরিচয় থাকত না। আমাদের নিজস্ব কোনো পাসপোর্ট থাকত না। আমরা সব সময় অন্যের দ্বারা শোষিত-বঞ্চিত-নির্যাতিত থাকতাম। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার যেই স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন, সেটি বাস্তবায়নের জন্য আজকে আমরা সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করছি। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ তার জীবটাকে অন্তত সুরক্ষিত করতে পারবে।
এর আগে, সব নাগরিককে পেনশনের আওতায় আনতে গত ২৪ জানুয়ারি সংসদে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল-২০২৩’ পাস হয়। বিলে ১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিকের নির্ধারিত হারে চাঁদা পরিশোধ করে ৬০ বছর পূর্তির পর আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করার বিধান রাখা হয়।
দেশের মোট জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশকে পেনশনের সুবিধায় আনতে যাচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে চার শ্রেণির প্রায় ১০ কোটি মানুষ পেনশন পেতে যাচ্ছেন।
সর্বজনীন পেনশন বিধিমালায় পৃথক চারটি স্কিম হলো- প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য প্রবাস স্কিম, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য প্রগতি স্কিম, স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য সুরক্ষা স্কিম ও স্বকর্মে নিয়োজিত স্বল্প আয়ের নাগরিকদের জন্য সমতা স্কিম।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট এই বিধিমালা চূড়ান্ত করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে চার শ্রেণিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে চাকরিজীবীদের জন্য চারটি পৃথক স্কিম রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে বিধিমালায় মোট ১৮টি ধারা রাখা হয়েছে।
গত ২৪ জানুয়ারি সব নাগরিককে পেনশনের আওতায় আনতে সংসদে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল-২০২৩’ পাস হয়। বিলে ১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিকের নির্ধারিত হারে চাঁদা পরিশোধ করে ৬০ বছর পূর্তির পর আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করার বিধান রাখা হয়। আজীবন বলতে পেনশনারের বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত বিবেচনা করা হয়েছে।