জন্মভূমি ডেস্ক : বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের খাশ মহেশপুর গ্রামে নিয়ামতি খালের উপর নির্মিত সেতুটি পার্শ্ববর্তী উপজেলা বেতাগির বিবিচিনি গ্রামের সাথে সংযোগ হয়েছে। দুই উপজেলার সাথে সংযোগ সেতুটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। গত ১৬ বছর ধরে সেতুটি দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ২০০১ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে একটি নড়বড়ে সেতু নির্মাণ করে। তখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এমন সেতু নির্মাণ হলে ২০০৭ সালে সিমেন্টের ঢালাই দেয়া স্লিপারের বেশির ভাগই ভেঙ্গে পরে খালে ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ে সেতুটি। অথচ দেড় যুগ পার হলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেতুটি সংস্কার ও নতুন করে নির্মাণের কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। নিরুপায় হয়ে স্থানীয়রা, সেতুটির উপরে সুপারি গাছ ও বাসের সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল করছে। এমন পরিস্থিতিতে ঝুঁকিতে পড়েছে দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষ। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বৃদ্ধ ও শিশু সহ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করা খাশ মহেশপুর, ঢোহরকোলা, মধ্য নিয়ামতি, বেতাগী উপজেলার দেশান্তরকাঠি, বিবিচিনি,তালগাছিয়া সহ ১০ গ্রামের মানুষের। এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন ঢোহরকোলা আহম্মাদিয়া দাখিল মাদ্রাসা, খাশ মহেশপুর স্কুল, বাশতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মেসবা হাফিজিয়া ও নুরানী মাদ্রাসা, দেশান্তরকাঠি সেরআলী শিকদার হাফিজি নূরানী ও কওমি মাদ্রাসা, শান্তরকাঠির সরদারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিয়ামতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীরা নড়বড়ে ও ভেঙ্গে যাওয়া সেতুটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায় দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে। সেতুটি দ্রুত সংস্কার বা নতুন করে নির্মাণ করে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থ নড়বড়ে ও ভেঙ্গে যাওয়া সেতুর সিমেন্টের ঢালাই দেয়া স্লিপারগুলো ভেঙ্গে গেছে। ক্রস এ্যাঙ্গেলগুলো মরিচা ধরে ভেঙে গিয়ে সেতুটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা চলাচলের জন্য সিমেন্টের ঢালাই দেয়া স্লিপার না থাকায় লোহার এ্যাঙ্গেলগুলোর সাথে সুপারি গাছ ও বাঁশের মাচা তৈরি করে বেঁধে দিয়েছে। সেতুর সিমেন্টর স্লিপার না থাকায় বিভিন্ন স্থানে ফাঁকা হয়ে গেছে। সেতুর ক্রস এ্যাঙ্গেল গুলো মরিচা ধরে বিভিন্ন স্থান ভেঙ্গে গেছে। মানুষ নিরুপায় হয়ে সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। স্থানিয় কৃষকেরা তাদের মাথায় করে ধান চাল ভাঙ্গা সেতু দিয়ে পারাপার করছেন। এমন পরিস্থিতিতে বেশি ঝুকিতে রয়েছে স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
বেতাগী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো: রাইচুল ইসলাম জানান, সেতুটি বেতাগী উপজেলার আওতায় কিনা আমার ভালো জানা নেই। সরেজমিন পরিদর্শন করে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত