জন্মভূমি রিপোট : গত আড়াই মাসেও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর পাবলিক প্রসিকিউটর-পিপি শেখ মোহাম্মাদ লুৎফুল কবীর নওরোজ (৫৮) হত্যা মামলার কুল-কিনারা হয়নি। মামলাটির তদন্তভার নৌ পুলিশের হাত ঘুরে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তেছে। তদন্ত কর্মকর্তা কারাগারে থাকা আসামি সুলতানা পরভীন চুমকি (৩৬) কে গতকাল রোববার তিন দিন পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন। অভিযুক্ত চুমকি নিহতের চতুর্থ স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, গত ১৭ জুলাই নিহতের প্রথম স্ত্রী জেসমিন নাহার বটিয়াঘাটা থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা ও লাশ গুমের চেষ্টার অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে ১৬ জুলাই বটিয়াঘাটা উপজেলার কচুবুনিয়া এলাকার কাজীবাছা নদী সংযুক্ত একটি পুকুর হতে রূপসা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম তার অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করেছিলেন। ভিকটিম ১৩ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিলেন বলে এজাহারকারী পুলিশকে জানিয়েছিলেন। এডভোকেট নওরোজ রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা ইউনিয়নের মহিশাগুনি গ্রামের মৃত: আব্দুল জব্বারের ছেলে। লাশ উদ্ধার হওয়ার অন্তত দুই মাস আগে থেকে তিনি বাড়ীতে নিয়মিত যাতায়াত করতেন না।
সূত্রমতে, আসামি চুমকি শরীয়তপুরের সদর থানাধীন এসবিএস নামে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় চাকুরি করতেন। নৌ পুলিশের একটি টিম তাকে তার কর্মস্থল থেকে গ্রেফতার করেছিল। আদালতের আদেশে নৌ পুলিশের নিযুক্ত তদন্ত কর্মকর্তা তাকে দুই দিন রিমাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। যদিও তিনি উল্লেখযোগ্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন করতে পারেননি।
পিবিআই কর্তৃপক্ষের নিযুক্ত তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক পলাশ চন্দ্র রায় দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, জিন্স প্যান্ট এবং চেক শার্ট পরিহিত মরদেহের পকেট হতে তার পেশাগত পরিচয় পত্র, জাতীয় পরিচয় পত্র এবং একটি মোবাইল ফোন আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছিল। নৌ পুলিশের কাছ হতে তিনি কেস ডকেটের পাশাপাশি আলামত সমূহ বুঝে নিয়েছেন। সুরতহাল রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, মরদেহের বুকে, মাথার তালুর সামনের দিকে এবং দুই হাতে আঘাতের চিহ্ন ছিল। কিভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে? ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে এ প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট উত্তর মিলবে।
এসআই পলাশ বলেন, নিহতের ব্যবহৃত মোবাইলের সিডিআর এবং এসএমএস কনটেন্ট বের করে পর্যালোচনা করা হয়েছে। সর্বশেষ তিনি ওই মোবাইল দিয়ে আসামি চুমকির সাথে ৪১ মিনিট ৪৯ সেকেন্ড কথা বলেছিলেন। এরপর তার মোবাইলটি বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে কি বিষয় নিয়ে তাদের কথোপকথন হয়েছিল? আসামিকে রিমাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত অনুমতি দিলে এ প্রশ্ন করা হবে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাবে বলে তদন্ত কর্মকর্তা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত