জন্মভূমি রিপোর্ট : দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর পাবলিক প্রসিকিউটর-পিপি শেখ মোহাম্মাদ লুৎফুল কবীর নওরোজ (৫৮) হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে গত চার দিনেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। উদ্ধার হয়নি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কোনো আলামত। গত ১৭ জুলাই নিহতের স্ত্রী জেসমিন নাহার বটিয়াঘাটা থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা ও লাশ গুমের চেষ্টার অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে ১৬ জুলাই বটিয়াঘাটা উপজেলার কচুবুনিয়া এলাকার কাজীবাছা নদী সংযুক্ত একটি পুকুর হতে রূপসা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম তার অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করেছিলেন।
এডভোকেট লুৎফুল কবীর নওরোজ রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা ইউনিয়নের মহিশাগুনি গ্রামের মৃত: আব্দুল জব্বারের ছেলে। তিনি গত ১৩ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিলেন বলে তার স্ত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন। মামলাটি নৌ পুলিশ তদন্ত করছেন।
নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ নূরুল ইসলাম শেখ নিহত আইনজীবীর স্বজনদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, গত দুই মাস যাবৎ লুৎফুল কবীর বাড়িতে যাতায়াত করতেন না। তিনি নগরীর কোথোয় বাসা ভাড়া নিয়ে বসত করতেন? এ প্রশ্নের উত্তর ভিকটিমের স্ত্রী, ভাই এবং কয়েকজন সহকর্মীর কাছ থেকে জানা সম্ভব হয়নি। তার সাথে কারো শত্রুতা ছিল কিনা? কারা তাকে খুন করতে পারে? এসব প্রশ্নের কোনো ইঙ্গিত অভিযোগকারী এজাহারে উল্লেখ করেননি।
কোন-কোন ক্লুকে সামনে রেখে তদন্ত কাজ শুরু করেছেন? এ প্রশ্নের উত্তরে ইন্সপেক্টর নূরুল ইসলাম তদন্তের স্বার্থে এ প্রশ্নের উত্তর দিতে আপারগতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, জিন্স প্যান্ট এবং চেক শার্ট পরিহিত মরদেহের পকেট হতে তার পেশাগত পরিচয় পত্র, জাতীয় পরিচয় পত্র এবং একটি মোবাইল ফোন আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। মোবাইলটি পানিতে ভিজে বিকল হয়ে পড়েছে। সূত্র উদঘাটনের জন্য সেটি সচল করার কাজ চলছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, সন্দেহভাজন ঘাতকদের গ্রেফতার এবং খুনের আলামত উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।
সুরতহাল রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, মরদেহের মাথার পেছনে শক্ত কোনো বস্তুর আঘাতে ফোলা জখমের চিহ্ন রয়েছে। লাশটি অর্ধগলিত হওয়ায় অন্য কোথাও আঘাতের দাগ রয়েছে কিনা? তা সঠিকভাবে নিরূপন করা সম্ভব হয়নি। কিভাবে তার মৃত্যু হলো? ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত