
দুবলারচর থেকে শেখ মোহাম্মদ আলী : পূর্ব সুন্দরবনের দুবলার আলোরকোলে সাগরের প্রথম জোয়ারে পূণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে আজ বুধবার প্রতুষে শেষ হবে তিন দিনের রাস উতসব। এবারের রাস উৎসবে প্রায় ১৪ হাজার পুণ্যার্থী অংশ নিয়েছেন। গত সোমবার থেকে শুরু হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহাসিক রাস উৎসব। বঙ্গোপসাগরের তীরে প্রায় ২০০ বছর ধরে চলে আসা এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে ঘিরে সুন্দরবনে বিরাজ করছে এক উৎসবের আমেজ। এদিকে, রাস উৎসবে আগত তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বনবিভাগ, কোষ্টগার্ড ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন। উৎসবস্থল ও আশপাশের বনের বিভিন্ন পয়েন্টে টহল জোরদার করা হয়েছে। পাশপাশি হরিণ ও বন্যপ্রাণি শিকাররোধ এবং দস্যু দমনেও নেওয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, রাস পূর্ণিমার পূজা ও পূণ্যস্নান উপলক্ষ্যে তীর্থযাত্রী এবং দর্শনার্থীদের জানমালের নিরাপত্তায় কোস্টগার্ড সার্বক্ষণিক কাজ করছে। উৎসবকে কেন্দ্র করে কোনো ধরণের অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা এড়াতে আমাদের (কোস্টগার্ড) একাধিক স্টেশন ও আউটপোস্টের সদস্য এবং ডুবুরি দল প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের নিয়মিত টহল ও অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। কোস্টগার্ডে মিডিয়া কর্মকর্তা সিয়াম-উল-হক আরো বলেন, রাস পূর্ণিমার পূজা ও পূণ্যস্নান উপলক্ষ্যে আসা তীর্থযাত্রীদের কোনো ধরণের সমস্যা বা অন্য যে কোনো প্রয়োজনে দ্রুত সেবা পেতে ১৬১১১ এই জরুরি সেবা নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এবারের রাস উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশ করি। সুন্দরবন পূর্ব বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে উৎসবস্থলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি হরিণ শিকার ও দস্যুদমনে বনবিভাগ, কোস্টগার্ড ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে। ডিএফও রেজাউল করিম চৌধুরী আরো বলেন, এবছর রাস পূজায় সনাতন ধর্মের প্রায় ১৪ হাজার তীর্থযাত্রী উপস্থিত হয়েছেন। বুধবার (৫নভেম্বর) ভোরের সূর্যোদয়ের সময় সাগরের প্রথম জোয়ারের লোণা জলে পূণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে এই উৎসবের।

