
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার জঙ্গি নেতা জিয়াউর রহমান ওরফে আফগান জিয়া কে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত সোমবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা থেকে দেবহাটা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করা হয়। আফগান জিয়া সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের নারিকেলি গ্রামের আব্দুল করিম সরদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু রায়হান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আজিজ হত্যা, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাড়িঘর ভাংচুর, নাশকতাসহ অন্তত দেবহাটা ও সাতক্ষীরা থানাসহ বিভিন্ন থানায় ২০ মামলা রয়েছে। দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আফগানিস্থানে প্রশিক্ষণ নেয়া জঙ্গী, জামায়াত নেতা জিয়াউর রহমান ওরফে আফগান জিয়া দীর্ঘ ১০ বছর গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে ছিলেন।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, সখীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করে কিশোর বয়সেই বড়ভাই জাহাঙ্গীরের সাথে সৌদিতে পাড়ি জমিয়ে ছিলেন জিয়াউর রহমান জিয়া। কিন্তু বয়স কম হওয়ায় সেখানে থাকতে না পেরে আফগানিস্থানে চলে গিয়ে জড়িয়ে পড়েন তালেবানি জঙ্গী সংগঠনের সাথে।
জঙ্গি প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে পারুলিয়াতে বড় ভাইয়ের হার্ডওয়ার ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। এ সময় স্থানীয় এক বিএনপি নেতার হাত ধরে জাতীয়তাবাদি দলের রাজনীতিতে পা রাখেন। পরে জামায়াত নেতাদের সংস্পর্শে এসে জামায়াতের রাজনীতিতে যোগ দেন। ২০১০ সালে প্রথম পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হলে আফগান জিয়ার জঙ্গী সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সে সময় আফগান জিয়ার জঙ্গী সম্পৃক্ততার বিষয়টি মিডিয়ায় স্বাক্ষাতকারে তুলে ধরেন তৎকালীন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মনির-উজ-জামান।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) বাবুল আক্তার জানান, আফগান জিয়া একজন জঙ্গী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অস্ত্রধারী ক্যাডার। তার বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ১৫ সেপ্টম্বর দেবহাটা মসজিদের সামনে রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ড, মখিপুর কলেজের সামনে নাশকতা কর্মকান্ড, ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টম্বর সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ সড়কে গরানবাড়ী, শখিপুরসহ বিভিন্নস্থানে নাশকতা ঘটনা ঘটানোর মামলা রয়েছে। রাজধানীর ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার পরম মঙ্গলবার দেবহাটা থানা পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।