দেবহাটা প্রতিনিধি
দেবহাটার উত্তর কোমরপুরে যৌতুকের টাকা না পাওয়ায় গৃৃহবধুকে পিটিয়ে জখম করেছে এক পাষন্ড স্বামী। বর্তমানে ঐ গৃহবধু এক সন্তানের জননী দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নির্যাতনের শিকার নারী পারুলিয়া গড়িয়াডাঙ্গা গ্রামের জহিদ মোড়লের মেয়ে। আহত হালিমা খাতুন (২৫) জানান, গত ২০০২ সালে উত্তর কোমরপুর গ্রামের মুনসুর আলীর ছেলে খালেকুজ্জামানের সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর থেকে নানা সমস্যা দেখিয়ে বাপের বাড়ি থেকে বাধ্য করে প্রায় দেড় লক্ষাধীক টাকা আদায় করে স্বামীর পরিবার। সময় মত টাকা নিয়ে না গেলে নির্যাতন করে তার পরিবার। গত রোজার আগেও নির্যাতন করায় স্থানীয় শালিশের মাধ্যমে তা সমাধান করা হয়। কিন্তু কিছুদিন ধরে আমার স্বামী পারুলিয়া পলগাদা গ্রামের এক নারীর সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন। আমি প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে তা টের পায়। গত ১৩ জুলাই আমার বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে। আমি বাবার বাড়ির পরিবারের সমস্যার কথা বলায় আমার উপর মারপিট শুরু করে। এলোপাতাড়ি মারপিটি আমি অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। এঘটনায় আমরা যেন আইনের আশ্রয় না নেই সে বিষয়য়েও তারা হুমকি প্রদান করছে। বর্তমানে আমরা নিরূপায় হয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।
এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা গেছে।
দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ ওবাইদুল্লাহ জানান, বিষয়টি নিয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলেই তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, থানায় মাদক, নারী ও নির্যাতনকারী সহ কোন অপরাধীর জন্য সামান্য পরিমান ছাড়া নেই। অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে
এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা গেছে।
দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ ওবাইদুল্লাহ জানান, বিষয়টি নিয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলেই তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, থানায় মাদক, নারী ও নির্যাতনকারী সহ কোন অপরাধীর জন্য সামান্য পরিমান ছাড়া নেই। অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে