খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, দেশের সমৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি পুষ্টির চাহিদা পূরণে প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। গ্রামীণ জনপদে একদা গোলা ভারা ধান, পুকুর ভরা মাছ ও গোয়াল ভরা গরু ছিল। কৃষকের আঙিনায় উৎপাদিত হতো নানা প্রজাতির সবজী। হারানো সেই ঐতিহ্য আবার ফিরিয়ে এনে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে হবে।
সিটি মেয়র শুক্রবার সকালে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে আয়োজিত প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ-২০২৩ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান আতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। খামারীদের উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে ‘স্মার্ট লাইভস্টক-স্মার্ট বাংলাদেশ’ শ্লোগান নিয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর-খুলনা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. অরুণ কান্তি মন্ডলে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কেসিসি’র প্যানেল মেয়র সদস্য মোঃ আলী আকবর টিপু ও খুলনা মহানগর আ’লীগের সহসভাপতি শ্যামল সিংহ রায়।
সিটি মেয়র আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কৃষি পণ্য উৎপাদনে সর্বস্তরের জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেও গণভবনে খামার তৈরী করেছেন। খুলনা মহানগরীতে কৃষিপণ্য বিপণনের সুবিধার্থে রাজবাঁধ এলাকায় আধুনিক কসাইখানা নির্মাণের বিষয়টি উলেখ করে তিনি নগরীতে কয়েকটি বাজার স¤প্রসারণ এবং খামারীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে গলামারী এলাকায় ডিম ও দুধের মার্কেট নির্মাণের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। এছাড়া আধুনিক কসাইখানার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর রাজবাঁধেও একটি ডিম-দুধের বাজার স্থাপন করা হবে বলে তিনি জানান।
অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার কৃষিবিদ রণজীতা চক্রবর্তী, কেসিসি’র ভেটেরিনারী সার্জন ড. পেরু গোপাল বিশ্বাস, খুলনার ভেটেরিনারী অফিসার ডাঃ এস এম আইয়ুব আলী, জেলা ট্রেনিং অফিসার ডাঃ এফ এম মান্নান কবির, খামারী তোফাজ্জেল হোসেন তুবাসহ খামারীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র-খুলনার উপ-পরিচালক ডা. স্বপন কুমার রায়।
অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ প্রাণিসম্পদ উদ্যোক্তা, শ্রেষ্ঠ দুগ্ধ উৎপাদনকারী ও শ্রেষ্ঠ মাংস উৎপাদনকারীকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।