By using this site, you agree to the Privacy Policy and Terms of Use.
Accept

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • জেলার খবর
    • খুলনা
    • চুয়াডাঙ্গা
    • বাগেরহাট
    • মাগুরা
    • যশোর
    • সাতক্ষীরা
  • ফিচার
  • ই-পেপার
Reading: দেশের প্রথম হানাদারমুক্ত স্বাধীন অঞ্চল শ্যামনগর-কালিগঞ্জ-দেবহাটা-সাতক্ষীরা
Share
দৈনিক জন্মভূমিদৈনিক জন্মভূমি
Aa
  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • ই-পেপার
অনুসন্ধান করুন
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • ই-পেপার
Have an existing account? Sign In
Follow US
প্রধান সম্পাদক মনিরুল হুদা, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত
দৈনিক জন্মভূমি > জেলার খবর > সাতক্ষীরা > দেশের প্রথম হানাদারমুক্ত স্বাধীন অঞ্চল শ্যামনগর-কালিগঞ্জ-দেবহাটা-সাতক্ষীরা
তাজা খবরসাতক্ষীরা

দেশের প্রথম হানাদারমুক্ত স্বাধীন অঞ্চল শ্যামনগর-কালিগঞ্জ-দেবহাটা-সাতক্ষীরা

Last updated: 2025/03/17 at 1:25 PM
করেস্পন্ডেন্ট 4 months ago
Share
SHARE

সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : সাতক্ষীরা ‌স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতিকে বিশ্বের মানুষের সামনে মাথা উঁচু করে বুক টানটান করে দাঁড়ানোর সাহস শক্তি ও শিক্ষা দিয়েছে। এ মর্যদার আসন অর্জন করতে ৩০ লক্ষ জীবনের বিনিময়ে সর্বোচ্চ মূল্য দিতে হয়েছে, যা কখনোই পরিশোধ যোগ্য নয়। যাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা আজ বংশপরম্পরায় স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছি, তারা এক কাতারে দাঁড়িয়ে সেই জীবন উৎসর্গ করা আমাদেরই স্বজন জাতীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি কি? বাস্তবে দেখা যায়, বিশেষ দিনে স্মরণ করছে তাদের সহযোদ্ধাগণ এবং এক শ্রেণির মানুষ। এই গৌরবগাঁথা নিরবিচ্ছিন্নভাবে স্মরণ করা হচ্ছেনা! কি বিচিত্র মানুষ আমরা! এ যেন, ভোগের বেলায় ষোল আনা, ত্যাগের বেলায় আমি জানিনা!
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ৯নং সেক্টরের মুক্তিযুদ্ধের ভুমিকা ও গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সুন্দরবন সীমান্ত অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের দক্ষতাপূর্ণ গেরিলা এবং সম্মুখ যুদ্ধের ফলে এই অঞ্চলই প্রথম শত্রুমুক্ত হয়। গেরিলা যোদ্ধাদের পরিকল্পিত হামলার ফলে ১৯৭১ এর ১৯ নভেম্বর সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগর উপজেলা থেকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যুদ্ধে পরাজিত হয়ে ওই অঞ্চল থেকে প্রথমে হটে যেতে বাধ্য হয়। এখানে বেশ কয়েকজন পাকসেনা নিহত হয়।এরপর ২০ নভেম্বর বসন্তপুর, নাজিমগঞ্জ কালিগঞ্জে ক্যাপ্টেন নুরুল হুদার কমা-ে পাকবাহিনীর সাথে তুমুল যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে টিকতে না পেরে কালিগঞ্জ অঞ্চল থেকে পাকিস্তান আর্মি পিছু হটে দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া অভিমুখে চলে যায় কালীগঞ্জের যুদ্ধে পাকবাহিনী বহুগোলা-বারুদ ও সৈন্য হারিয়ে পিছু হটতে বাধ্য হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুরা অঞ্চল দখলে নেয়। ২০ নভেম্বর পাক হানাদার মুক্ত কালিগঞ্জ। ৯নং সেক্টরের অন্যতম যুদ্ধ পরিচালনাকারী ক্যাপ্টেন নুরুল হুদা সহ¯্রাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধার সমাবেশের মাধ্যমে কালিগঞ্জে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। পরে সেক্টর কমান্ডার মেজর এমএ জলিল এর নির্দ্দেশে যোদ্ধাগণ পায়ে হেঁটে অগ্রবর্তী পাক ঘাটিতে আক্রমন চালানোর জন্য অগ্রসর হয়। এদিকে টাউনশ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প থেকে অনারারী ক্যাপ্টেন মাষ্টার শাহজাহান তাঁর বাহিনী নিয়ে মাঝ পথে আক্রমন চালায়। পাক-হানাদাররা দিশাহারা হয়ে পারুলিয়া ব্রিজ ধ্বংস করে দিয়ে কুলিয়া ব্রিজের উত্তর পারে অবস্থান গ্রহণ করে। ক্যাপ্টেন নুরুল হুদা তাঁর বাহিনী নিয়ে ৪ মাইল দূরে অবস্থান নেয়। লেপ্টন্যান্ট মাহফুজ আলম বেগ জানান, তিনি রাতের অন্ধকারে কয়েকজন গেরিলা যোদ্ধা নিয়ে পাকসেনাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডিনামাইট দ্বারা কুুলিয়া-শ্রীরামপুর ব্রিজ ভেঙে দেন, এখানে কয়েকজন পাক-টহল সেনা নিহত হয়। ‘এখানে ত্রিমুখী যুদ্ধে হানাদার সৈন্য, গোলাবারুদ হারিয়ে টিকতে না পেরে পিছু হটতে বাধ্য হয়।
নবম সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাগণের নিরাপদ ঘাঁটি ছিল ভারতের হিঙ্গলগজ্ঞ, হাসনাবাদ, টাকী, সমশেরনগর। সেখান থেকে দলে দলে মুক্তিযোদ্ধা মাতৃভুমিতে ঢুকে ক্ষুধার্ত বাঘের ন্যায় পাক আর্মি ও তাদের দোসর রাজাকার আলবদরদের উপর হামলা চালায়। এদিকে ভোমরা সীমান্তে ভীষণ যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে পরাজিত হয়ে হানাদার বাহিনী সাতক্ষীরা অভিমুখে পালিয়ে যায়।মেজর এমএ জলিলের ‘সীমাহীন সমর’ গ্রন্থ থেকে জানা গেছে, ক্যাপ্টেন হুদা, মি. চৌধুরী ও শাহজাহনের নেতৃত্বাধীন মুক্তিবাহিনী ও তাদের লোকজর একত্র করে আটটি কোম্পানিতে বিভক্ত করেন যুদ্ধ পরিচালিত হয়। লে. মোহাম্মদ আলী, লে. আহসানউল্ল¬াহ, লে. শচীন এবং চৌধুরীকে নেতৃত্বের দায়িত্ব দিয়ে ব্রিজের দিকে (কুলিয়া) অগ্রসর হয়ে যুদ্ধের নির্দেশ প্রদান করা হয়। তিনি উল্লে¬খ করেছেন, ‘২৩ নভেম্বর চার মাইল দুরে আর একটা ব্রিজের পিছনে হানাদাররা সরে গেল।’ অর্থাৎ পাকআর্মিরা আলীপুর ব্রিজের সাতক্ষীরা পারে অবস্থান নেয়।
২৩ নভেম্বর ১৯৭১ সীমান্তবর্তী দেবহাটা, কুলিয়া, ভোমরা অঞ্চল পাক-হানাদার মুক্ত হয়। এরপর তারা আলীপুর ব্রিজ ভেঙে দিয়ে সাতক্ষীরার পারে ঘাঁটি গাড়ে। মুক্ত হয় সাতক্ষীরর সীমান্ত অঞ্চল। দীর্ঘ পরাধীনতার পর এ অঞ্চলের মানুষ প্রথম গ্রহণ করে মুক্ত বাতাস।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফোর্স হেডকোয়ার্টারের ২৩ নভেম্বর ১৯৭১ এর যুদ্ধ বুলেটিন এ উল্লেখ করা হয়েছে,
In Khulna Sector, Mukti Bahini yesterday captured enemy position at BHOMORAR and KHULIA. Fearing to be cut off the Pakistani Army has vacated Satkhira town.During their raid in Kulia area, Mukti Bahini killed 12 enemy soldiers(সূত্র: স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র ১১তম খ-, পৃষ্ঠা-১৬০)স্বাধীনতার এই ঊষালগ্নের কথা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানী প্রথমে সাতক্ষীরার হানাদার মুক্ত স্বাধীন অঞ্চল পরিদর্শন করেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহীত করেন।এ সময় তাঁর একান্ত সচিব, বঙ্গবন্ধু পুত্র শেখ কামাল ও অন্যান্য সমর নায়কগণ উপস্থিত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিল, ক্যাপ্টেন নুরুল হুদাসহ অন্যান্য সামরিক কর্তাগণ তাকে অভ্যর্থনা জানান। এ পর্যায়ে স্বাধীন ও মুক্তঞ্চল দেবহাটায় মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা হয়। এই ক্যাম্প প্রথম পরিদর্শনে আসেন তৎকালীন মুজিবনগর সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী (জাতীয় নেতা) এম কামরুজ্জামান। এসময় তাঁর সাথে ছিলেন দেশী-বিদেশী গণমাধ্যম কর্মী ও রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দ। দলে দলে মুক্ত উৎসুক জনতা তাঁদের অর্ভথ্যনা জানায়। মুক্তিযুদ্ধের এই ঐতিহাসিক স্থান এবং দিনক্ষণ নিরূপিত হওয়া উচিত।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে নি:সন্দেহে বলা যায় ১৯৭১ এর নভেম্বর মাসের মধ্যে নবম সেক্টরের এই অসাধারণ ভুমিকায় দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে যুদ্ধজয়ে আত্ম প্রত্যয়ী করেছিল এবং ভুক্তভোগী দেশী-বিদেশী স্বাধীনতাকামী কোটি কোটি জনতাকে বাংলাদেশ স্বাধীনের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপায়ন করেছিল।এরপর সারাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ জয়ের আকাক্সক্ষা বেড়ে যায়। এদিকে নবম ও অষ্টম সেক্টরের যোদ্ধাগণ দলে দলে আনাড়ি পথে সাতক্ষীরা শহর ও সংলগ্ন অঞ্চলে ঢুকে পড়ে। তাঁদের ক্রমাগত কখনো গেরিলা, কখনো সম্মুখ আক্রমনের মুখে পাকিস্তানী আর্মিরা সাতক্ষীরা শহর থেকে ছাউনি গোটাতে বাধ্য হয়। সাতক্ষীরা যুদ্ধে কয়েকজন পাকআর্মি, অফিসার নিহত ও গাড়ি ধ্বংস হয়। এই অবস্থায় অস্ত্র-শস্ত্র, গোলাবারুদ ফেলে তারা পশ্চাৎপদ অনুসরণ করে। মেজর এম এ জলিল উল্লে¬খ করেছেন, ডিসেম্বরের তিন তারিখের মধ্যে পাকসেনারা সাতক্ষীরা শহর ছেড়ে চুকনগর-দৌলতপুর রাস্তা ধরে খুলনার পথে রওনা হয়। হানাদার মুক্ত হয় সাতক্ষীরা।

করেস্পন্ডেন্ট March 20, 2025
Share this Article
Facebook Twitter Whatsapp Whatsapp LinkedIn Email Copy Link Print
Previous Article সাতক্ষীরায় ইজিবাইকের দাপটে দুর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ
Next Article রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদা
Leave a comment

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দিনপঞ্জি

July 2025
S M T W T F S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
« Jun    
- Advertisement -
Ad imageAd image
আরো পড়ুন
তাজা খবরসাতক্ষীরা

কালিগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, আহত ৩

By করেস্পন্ডেন্ট 11 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

মহররমের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ইসলামি ঐতিহ্য

By করেস্পন্ডেন্ট 11 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

ভোমরা বন্দরে ৫ মাসে ৩২ কোটি ৪২ লাখ টাকার পণ্য রপ্তানি

By করেস্পন্ডেন্ট 12 hours ago

এ সম্পর্কিত আরও খবর

তাজা খবরসাতক্ষীরা

কালিগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, আহত ৩

By করেস্পন্ডেন্ট 11 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

মহররমের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ইসলামি ঐতিহ্য

By করেস্পন্ডেন্ট 11 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

ভোমরা বন্দরে ৫ মাসে ৩২ কোটি ৪২ লাখ টাকার পণ্য রপ্তানি

By করেস্পন্ডেন্ট 12 hours ago

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

রেজি: কেএন ৭৫

প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক: আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত

Developed By Proxima Infotech and Ali Abrar

Removed from reading list

Undo
Welcome Back!

Sign in to your account

Lost your password?