
জন্মভূমি ডেস্ক : বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষের নিজ নিজ ধর্ম পালনের সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে, দেশের সকল নাগরিক সমান; সকলের ধর্ম পালনের সমান স্বাধীনতা ও অধিকার রয়েছে। শেখ হাসিনা সেই নীতি অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং তাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেছেন।’
আজ রবিবার (১৩ আগস্ট) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। গত শনিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে কেউ নিরাপদ বোধ করে না। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কেউ নিরাপদ বোধ করে না। সাধারণ মানুষ নিরাপদ বোধ করে না।’ ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিএনপির রাজনীতি হলো পাকিস্তানি ভাবাদর্শ এবং উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘দলটি সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি করে রাজনীতি করে।’
২০০১ সালের নির্বাচনের পরে বিএনপি নেতা কর্মীদের হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, তাদের ধর্মীয় উপাসনালয়, বাড়ি-ঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন নির্বাচন যত কাছে আসছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য ধর্মের মানুষের ওপর প্রভাব সৃষ্টি করতে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন এবং পরোক্ষভাবে তাদের হুমকি দিচ্ছেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুলরা যতই মিথ্যাচার করুক না কেন, বাংলাদেশের মানুষ বিএনপি শাসনামলে তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সেই ভয়াবহ উত্থানের কথা ভুলে যায়নি।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৯৭১ সালে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের অক্ষরে রচিত পবিত্র সংবিধানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শক্তিশালী ভিত রচিত হয়। বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয় এবং ধর্ম-বর্ণ জাতি-লিঙ্গ শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়। আওয়ামী লীগ সেই অঙ্গীকারকে ধারণ করেই রাজনীতি করে আসছে।’