এম সাইফুল ইসলাম
খুলনা জিলা স্কুল। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় শ্রেণি কক্ষগুলোতে প্রলেপ পড়ে গেছে ধূলা-বালির। পরিচ্ছন্ন কর্মী সকাল থেকে পরিস্কার করছেন শ্রেণি কক্ষগুলো। লাগানো হচ্ছে রং ও সাজানো হচ্ছে বেঞ্চ। একই চিত্র দেখা যায় নগরীর মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, করোনেশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণায় খুশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। যেন সবার মধ্যে সাজ সাজ রব। বিদ্যালয় শিক্ষকরা তদারকি করে পরিস্কার করে নিচ্ছেন বিদ্যালয়ের আশপাশে জমে যাওয়া ঝোপ-ঝাড়গুলোও। প্রিয় প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণায় দেখতে এবং খোঁজ খবর নিতে স্কুলে চলে আসেন অনেক শিক্ষার্থী। তবে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বন্ধ কপাট খুলতে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে শিক্ষা অধিদফতর।
ন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থী বলেন, আমরা দেড় বছর পরে স্কুলে আসতে পারবো, ভাবতে-ই ভাল লাগছে। মনে হচ্ছে ঈদের আনন্দ।
মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষক চন্দন কুমার দত্ত বলেন, একটা আশার বিষয় এই যে দীর্ঘ দিন পর আমরা আবার শ্রেণি কক্ষে ফিরতে পারবো। ভালো লাগছে অনলাইন থেকে শ্রেণি কক্ষে ফিরে আসবো। শিক্ষক-শিক্ষার্থী এক সঙ্গে ক্লাসে থাকবো।
করোনেশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মমতাজ খাতুন বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় কি ক্ষতি হলো এর চেয়ে বড় বিষয় শিক্ষার্থীদেও বেচে থাকা।
খুলনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফারহানা নাজ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী যেন ক্লাসে প্রবেশ করতে পারে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ জন্য রাখা হবে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
স্কুল-কলেজ খোলার প্রস্তুতি কী হবে, শিক্ষা কার্যক্রম কীভাবে চলবে, সেসব নির্দেশনা দিয়ে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। শিক্ষা অধিদফতর থেকে সব স্কুল-কলেজগুলো খোলার প্রস্তুতি নিতে ১৯ দফা নির্দেশনা দিয়ে এ গাইডলাইন জারি করা হয়েছে। এ গাইডলাইন অনুসরণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। আর আগামী ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করতে সব স্কুল-কলেজকে নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।
দেড় বছর পর শিক্ষার্থী বরণে প্রস্তুত খুলনার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
Leave a comment