
জন্মভূমি রিপোর্ট : নগরীর দৌলতপুর থানাধীন কৃষক লাল রোড এলাকায় ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মোঃ আল আমীন (৩৯) গ্রেফতার হয়েছে। র্যাব-৬ এর একটি টিম রোববার ভোরে বাগেরহাটের চিতলমারী থানা এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে মামলার আরও তিন আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তারা আদালতে অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছিল।
র্যাব জানায়, ভিকটিম সপরিবারে ওই এলাকবার একটি টিনসেড বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। আসামি আলামিন তাকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিত। গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে ওই নারীর স্বামী বাড়ীতে ছিলৈন না, তখন আল আমীঅনসহ ১০-১৫ জন ওই বাসায় যায় এবং তাকে আবারও কুপ্রস্তাব দেয়। কিন্তু তিনি রাজী না হওয়ায় আসামিরা তাকে জোর-জবরদস্তি পালাক্রমে ধর্ষণ করে ভয়-ভীতি দিয়ে চলে যায়। নির্যাতিতা নারী স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা শেষে থানায় যেয়ে তিন জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ মামলটি দায়ের করেন।
সূত্রমতে, আসামি আল অঅমীন বার-বার অবস্থান বদল করে বরিশাল, ঢাকা, সাভারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। সর্বশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব তার অবস্থান শনাক্ত করে এবং চিতলমারীর বড়বাড়ীয়া মধ্যপাড়া গ্রামের একটি বাড়ী হতে তাকে গ্রেফতার করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আসামিকে আদালতে সোপর্দ করার প্রস্তুতি চলছিল বলে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী কামাল হোসেন জানিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোঃ কবীর হোসেন মাতুব্বার দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, এর আগে এজাহারভুক্ত আসামি রাকিব এবং ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ফোরকান ও রাতুল নামে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।