বিজ্ঞপ্তি : দৌলতপুর বাজার উন্নয়ন সংস্থার সিনিয়র সহ-সভঅপতি মোঃ আসাদ বন্দ গত ৬ এপ্রিল কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দাখিল করেছেন। ওই জবাবে তিনি বর্তমান কমিটির দুর্নীতি, অনিয়ম, চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরেছেন। কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবে তিনি বলেন, আমি দৌলতপুর বাজার উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সদস্যদের ভোটে সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর অদ্যাবধি কমিটির সভাপতি সম্পাদক কোনোরূপ মিটিং ডাকেন না। দৌলতপুর বাজারের কোন ব্যবসায়ী সমস্যায় পড়ে বাজার অফিসের স্মরণাপন্ন হলে আর্থিক লেনদেন ছাড়া কোনো সমাধান হয় না। রাতের অন্ধকারে রেল লাইনের পার্শ্বে সন্ধ্যা কাঁচামাল পট্টিতে জায়গা দখল করে বিক্রি, সম্প্রতি সিটি কর্পোরেশন এককোটি টাকার রাস্তা ও ড্রেনের উন্নয়নের জন্য একটি কাজ দিয়েছে। সেখানে লবণ পাট ও মাংস পট্টিতে যাতে ড্রেনের কাজ না হয় সে জন্য ঐ পট্টির ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়। সে বিষয়টি নিয়ে মেয়রের স্মরণাপন্ন হলে মেয়র বাজার পরিদর্শন করে ড্রেনের কাজের অনুমতি দেন। বাজারে কোনো দোকান ক্রয়-বিক্রয় হলে সেখান থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। আমাদের দায়িত্ব ২ বছর ৩ মাস অতিবাহিত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কোনো আয় ব্যয়ের হিসাব হয়নি। কোনো সাধারণ সভা কিংবা কেবিনেটের সদস্যদের নিয়ে কোনো প্রকার মিটিং বা আলোচনা করে না। অফিসের কোন কাজের বিষয় আমাকে জানায় না। ব্যবসায়ীদের সাথে তুই তোমারী ব্যবহার করে। সর্বোপরি দোকানদার ও ব্যবসায়ীরা কোনো সমস্যায় পড়লে তাদেরকে আরো সমস্যায় ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। আমি এ সমস্ত কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের মিথ্যা ভিত্তিহীন ঘটনার উন্মোচন করে আমাকে বিভ্রান্তিতে ফেলার চেষ্টা করছে। পরিশেষে, যেহেতু কেবিনেটের সদস্যদের নিয়ে কোনো মিটিং করা হয় না। বিধায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কোনোরূপ খারাপ আচরণের সুযোগ নেই। তাছাড়া বিগত ৩০ মার্চ দৌলতপুর বাজার উন্নয়ন সংস্থার দপ্তর সম্পাদক গাজী মোঃ আকমল হোসেন দপ্তর সম্পাদক হয়েও আমি সিনিয়র সহ-সভাপতি আমার সহিত দুর্ব্যাবহার করেছেন। তা সভাপতি ও সম্পাদক উপেক্ষা করে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য সভাপতি ও সম্পাদক দপ্তর সম্পাদকের পক্ষ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে এহেন কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে আমি সংস্থার কর্মকর্তাদের দুর্নীতি এবং পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের প্রতিবাদ করায় আমাকে হেয় করার প্রয়াসে এ জাতীয় নোটিশ। আমি আমার পদ এবং দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে অকেবহাল। আমি দৌলতপুর বাজার উন্নয়ন সংস্থার সংগঠনের ক্ষতি হয় এমন কোনো কর্মকান্ডের সাথে লিপ্ত নই। গত ৩ এপ্রিল আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রসঙ্গে আমার জবাব।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত