ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আগে অনেকেই বাংলা গদ্য লিখেছেন, কিন্তু বিদাসাগরই বাংলা গদ্যে সত্যিকারের প্রাণ জুগিয়েছেন। গদ্য যে সুলিখিত, সুখপাঠ্য হতে পারে, তা তাঁর প্রকাশভঙ্গিতে ফুটে উঠেছে। বাংলাকে পরিশীলিত করতে তিনি বাংলা বর্ণমালার বিজ্ঞানভিত্তিক, যুক্তিগ্রাহ্য ধারা প্রবর্তন করেন। স্বর বর্ণ ও ব্যাঞ্জণ বর্ণের মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য নির্ধারণ করেন। অনেকেই তাঁকে পাঠ-পুস্তক রচয়িতা বলে থাকেন, কিন্তু তা নয়; তাঁর কোন কোন পুস্তক ব্যাপকভাবে পঠিত। জীবদ্দশায় তাঁর কোন কোন বই পঁচিশবারও মূদ্রিত হয়েছে।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকীতে বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ খুলনা শাখার আয়োজনে একক বক্তৃতামালার বক্তা সালেহ মোহম্মদ শহিদুল্লাহ তাঁর তৃতীয় বক্তৃতায় বিদ্যাসাগরের সাহিত্য ও সাংবাদিক জীবনের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে এসব কথা বলেন। অরোতীর্থ বিদ্যাপীঠে শনিবার সন্ধ্যায় এ বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দেবদাস মিস্ত্রী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রোমেল রহমান।
একক বক্তা সালেহ মোহম্মদ শহীদুল্লাহ এক ঘন্টারও বেশী ধরে কথা বলেন। বিদ্যাসাগরের সাহিত্য-কীর্তির কথা বলতে গিয়ে তাঁর প্রেস ব্যবসা শুরু করার ঐতিহাসিক তাৎপর্য ব্যাখ্যাা করেন। সাংবাদিকতাকে তিনি পেশা হিসেবে বেছে নেননি, তবে নানাভাবে সাংবাদিকতা পেশাকে তিনি সমৃদ্ধ করেছেন বলে বক্তা উল্লেখ করেন।