জন্মভূমি ডেস্ক : দেশব্যপী একযোগে শুরু হয়েছে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সরকারিভাবে ধান, চাল ও গম কেনার কর্মসূচি। চলতি বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টন ধান, চাল ও গম কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে চার লাখ টন ধান, ১২ লাখ ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সংগ্রহ করা হবে এক লাখ টন।
রবিবার দুপুরে সচিবালয়ের দপ্তর থেকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, প্রয়োজনে লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ পরিমাণ ধান কিনবে সরকার। অবৈধ মজুত ও লাইসেন্স ছাড়া ধানের ব্যবসা বা ধান কেনা ঠেকাতে মাঠ পর্যায়ের খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশও দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।
গত ১৩ এপ্রিল খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় চলতি বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টন ধান ও চাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়। প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৪ টাকা। গমের সংগ্রহ মূল্য ৩৫ টাকা। সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ টন। ধান, চাল ও গম সংগ্রহ চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে সব খাদ্যগুদামে ধান ও চাল কেনা শুরু হয়েছে। আমরা ধান সংগ্রহ করি শুধু কৃষকদের ন্যায্যমূল্য দেওয়ার জন্য। আমরা ধান কেনার টার্গেটে পৌঁছাতে পারি আর না পারি, আমরা কেনার মধ্যে থাকলে তারা আর কৃষকদের ঠকাতে পারবে না। আমরা চার লাখ বোরো ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। তার পরও আমরা বলেছি, বাজারে যদি সেই রকম অবস্থা থাকে, কৃষক যদি ন্যায্যমূল্য না পায় আমরা আরও বেশি কিনব। কৃষক যেন কষ্ট না পায় আমরা অবশ্যই তা নিশ্চিত করব। প্রয়োজনে আমরা ৬/৮ লাখ টন ধান কিনব।
তিনি বলেন, কৃষকরা বলেছিলেন সারের দাম বাড়ায় এক বিঘা জমিতে এখন ৬৬৫ টাকা বেশি গুনতে হবে। সেদিকে চিন্তা করে আমরা খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ৩০ টাকা ধানের দাম নির্ধারণ করা হলে এক বিঘা জমিতে কমপক্ষে ২০ মণ ধান হলে কৃষক এক হাজার ৬০০ টাকা বেশি পাবে। তা হলে তাদের ৬৬৫ টাকা কাভার করা তাদের জন্য অসুবিধা হবে না।