বিজ্ঞপ্তি : হোটেল-রেস্তোরাঁয় শিশু-নারী ও বৃদ্ধদের জন্য সুস্থ্য পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি পাশের কোন বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন, খুলনা বিভাগ হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিকরা। সোমবার সকালে খুলনার ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সভাকক্ষে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহযোগিতায় ও এডভ্যান্সমেন্ট অব হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট (আহার) বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত সেমিনারে তারা আরও জানান, হোটেল ও রেস্তোরাঁয় স্মোকিং জোন রাখার বিধান বাতিল করেতে হলে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাশ করতে হবে।
রেস্তোরাঁয় একটি জায়গা ধূমপানের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হলেও সেখান থেকে ধোঁয়া বেরিয়ে আশপাশে ছড়িয়ে পড়ায় পরোক্ষ ধূমপানের কবলে পরছেন অধূমপায়ীরা। কোনোভাবে ধূমপানের প্রভাব থেকে তাদের মুক্ত করা যাচ্ছে না। পরোক্ষ ধূমপানের ফলে তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি ৮৫% পর্যন্ত বেড়ে যাচ্ছে বলেও জানান বক্তারা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস. এম. মুনিম লিংকন জানান, রেস্তোরাঁতে স্মোকিং জোনের সুযোগ নিয়ে তরুনরা ধূমপানমুখী হচ্ছে। তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্মোকিং জোন বাতিলের আইন করা জরুরী। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতি মহানগর কমিটির সেক্রেটারী শ্যামল কুমার ঘোষ তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ধূমপানের কারণে ক্যান্সারের ব্যাপকতা বাড়ছে। পরোক্ষ ধূমপানেও একই স্বাস্থ্য ঝুঁকি। এই ঝুঁকি থেকে বাঁচতে রেস্তোরাঁতে স্মোকিং বাতিল করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ও যশোর জেলা সেক্রেটারী আলহাজ¦ শেখ মুকুল হোসেন বলেন, সকল হোটেল-রেস্তোরাকে শতভাগ ধূমপানের আওতায় আনতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাস হওয়া দরকার।