নওয়াপাড়া অফিস : শিল্প বাণিজ্য রন্দর নগরী নওয়াপাড়ার কয়লার মোকাকে প্রতারকের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পয়েছে। প্রতারক চক্র ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত লাখ টাকা থেকে কেটি টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে।
যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ায় সড়ক,রেল ও নৌ পথে যোগাযোগের সুবিধা ধাকায় এখানে প্রায় সকল পণ্য আমদানী হয়। ৯০ এর দশকে সার আমদানীর মাধ্যমে নগরের পত্তন শুরু হয়। বর্তমানে ইহা সার, সিমেন্ট, কয়লাসহ ভোগ্যপণ্যের বৃহত্তম মোকামে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন ব্যাপক আর্থিক লেনদেন হওয়ায় এখানে প্রায় সকল বাণিজ্যিক ব্যংকের শাখা গড়ে উঠেছে। পাশাপাশি বেড়েছে ফড়িয়া, দালাল, অব্যবসায়ি ও প্রতারকদের দৌরাত্ম্য। এতে ব্যবসায়ীরা হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৬/১/২৩) কয়লা ব্যবসায়ী রুপলেখা ট্রের্ডিং এর মালিক মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ক্রেতা সেঝে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একজন প্রতারক। মিজানুর রহমান জানান, তিনি আমদানী কারক উত্তরা ট্রেডার্স থেকে দুই হাজার টন মাল ক্রয় করে ডিও লেটার নেন। ওই দিন একজন ৬০ উর্ধ বয়সী সুন্নতি পেশাক পরিহিত অপরিচিত খরিদার দরদাম ঠিক করে এক ট্রাক মাল ক্রয় করার চুক্তিবদ্ধ হন। পরে অপরিচিত লোকটি নড়াইল সদরে অবস্থিত ভাটা মালিক সাদিক হোসেনের কাছে রুপলেখা ট্রেডিং এর ডিও লেটার দেখিয়ে কম দামে এক ট্রাক কয়লা বিক্রি করেন।
সাদিক হোসেন জানান, তিনি এক ট্রাক কয়লার মূল্য বাবদ অগ্রিম দুইলাখ টাকা ওই অপরিচিত ব্যক্তিকে প্রদান করেন। অপরিচিত ব্যক্তি নগদ দুই লাখ টাকা পেয়ে রুপলেখা ট্রেডিংয়ের ডিও লেটারটি সাদিক হোসেন কাছে তুলে দেন। সাদিক হোসেন উত্তরা ট্রের্ডাসের ড্যাম্প থেকে ওই মাল ডেলিভারি নেওয়ার জন্য ট্রাক লোড করেন। পরে ওই ট্রাকে মালের পরিমাপ করার জন্য ডিজিটাল স্কেলে উঠানো হয়। ব্যবসায়িক নিয়ম মোতাবেক মাল ওজন করার পর টাকা পরিশোধ করা হয়। এ সময় রুপলেখা ট্রের্ডিং মালের মূল্য বাবদ সাদিক হোসেনের কাছে ৫ লাখ ২১ হাজার টাকা দাবি করেন। সাদিক হোসেন তখন বিষয়টি মিজানুর রহমানকে খুলে বলেন। এনিয়ে জটলা বাধলে বিষয়টি থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে রুপলেখা ট্রেডিংকে ১লাখ ৫০ হাজার টাকা কম দিয়ে মাল ছাড় করে সাদিক হোসেন তার ভাটায় নিয়ে যান।
অপরিচিত ওই লোকটি ০১৭৮০-৬৯১১৪৭ মোবাইল ব্যবহার করেছিলো। পরে ওই নম্বরটি ট্রাক করে দেখা যায় প্রতারক ব্যক্তির নাম বাবুল হাওলাদার ঠিকানা পিরোজপুর। থানা পুলিশ জানায় ওই ঠিকানায় পুলিশ পাঠিয়ে ওই নামের কাউকে পাওয়া যায়নি। থানার এসআই মরিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনার এক আস আগে সুমন নামে এক ব্যক্তি নিজেকে আমদানিকারক পরিচয় দিয়ে চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ির কাছে কয়লা বিক্রি করার চুক্তিবদ্ধ হয়। সুমন হোসেন ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মালের অগ্রিম মূল্য বাবদ এক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে সটকে পড়েছে। এ ঘটনায় ওই ব্যবসায়ি অনেক দেনদরবার করেছেন কিন্তু টাকা উদ্ধার করতে পারেনি। থানার এস এই মরিনুজ্জামান বলেন, এ ধরনের প্রতারণা নওয়াপাড়া কয়লার মোকামে প্রতিনিয়ত ঘটছে।