মোঃ এজাজ আলী : পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বেওয়ারিশ কুকুরের অবদান অনস্বীকার্য হলেও বর্তমান সময়ে নামটি বেশ আতংকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে চলছে বেওয়ারিশ কুকুরের টহল। রাত একটু গভীর হলে একা একা রাস্তা দিয়ে চলতে গেলে আর রক্ষা মিলছে না বেওয়ারিশ এসব সংঘবদ্ধ কুকুরের হাত থেকে। তারা দিনের বেলায়ও শিশু থেকে শুরু করে সর্ববয়সী পথচারীদের বেশ আতংকগ্রস্থ করে তোলে। গোটা শহরজুড়ে বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে কুকুরের বংশ বিস্তার বিষয়টি যাদের দেখার কথা তারা দেখছেন ঠিকই কিন্তু আদালতের নির্দেশনায় রয়েছেন নীরব। সরেজমিনে নগরীর সিমেট্রি রোড, ধর্মসভা রোড, দোলখোলা, ইকবালনগর, রায়পাড়া, মিস্ত্রীপাড়া, আমতলা, বিহারী কলোনী, ডালমিল, বসুপাড়া, নিরালা আবাসিক এলাকা, গল্লামারী, বুড়ো মৌলভীর দরগা, দৌলতপুর, দৌলতপুর আমতলা মোড়, মুহসীন মোড়, কল্পতরু মাঠ চত্বর, কৃষি কলেজ কবরখানা সংলগ্ন রোড, হোসেন শাহ রোড, দেয়ানা উত্তরপাড়া মাঠ চত্বর, পাবলা তিন দোকানের মোড়, ডে নাইট কলেজ মোড়, রেলিগেট মোড়সহ বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে ৮/১০টি কুকুর সংঘবদ্ধভাবে অবস্থান করে। সংঘবদ্ধ হওয়ার দরুন হুমড়ি খেয়ে হিংস্র হয়ে ওঠে সাধারন পথচারীদের উপর। ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পথচারীরা আতংকের মধ্যে পথে চলাচল করছে। নগরীর নিরালা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা হিমেল বলেন, তার বাড়ির রসামনে সর্বদা ৫/৬টি সংঘবদ্ধ কুকুর সবসময় অবস্থান করে। পথচারীরা যেতেই তাদের উপর আক্রমণ করে। দু’একদিন পরপরই পথচারীরা কুকুরের আক্রমনের শিকার হচ্ছেন। এতে করে এলাকাবাসী কুকুর আতংকের মধ্যে দিয়েই পথ চলছে। গভীর রাতে সংঘবদ্ধ কুকুরের ডাকে এলাকাবাসীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে। সিমেট্রি রোড এলাকার মনোয়ারা মার্কেটের পাশের বাসিন্দা আশিক বলেন, প্রায় নিজের কাজ শেষ করে গভীর রাতে বাড়ি ফিরতে হয়। বাসার গলিতে ঢুকলেই ২/৩টি সংঘবদ্ধ কুকুর তার দিকে তেড়ে আসে। এলাকায় কুকুরের অত্যাচার ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া রাতে বাজারের ব্যবসায়ীদের বাসায় ফেরা, হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে ইজিবাইক বা রিক্সায় করে রাস্তায় বের হলেইএ সকল সংঘবদ্ধ কুকুরের হাত থেকে কেউ রেহাই পাচ্ছে না। চাকুরীজীবী মিজানুর রহমান জানান, আমি মোটরসাইকেলযোগে যাচ্ছিলাম হঠাৎ একটা কুকুর এসে আমার পায়ে কামড় দেয়। মোটা প্যান্ট পরাতে পায়ে কামড় বসাতে পারেনি। এছাড়া প্রায় বাসা বাড়ির হাঁস-মুরগীন বাচ্চাও ধরে নিয়ে যায়। খুলনা সিটি করপোরেশনের ভেটরেনারি সূত্রে জানা গেছে, উচ্চ আদালতের আদেশের কারনে কুকুর নিধনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে অসুস্থ ও পাগলা কুকুরের ব্যা ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে নির্ধারিত এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর নিকট বিষয়টি অবগত করতে হবে। কাউন্সিলরের নির্দেশনা অনুযায়ী পাগলা ও অসুস্থ কুকুর নিধনে অভিযান পরিচালনা করবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত