
জন্মভূমি রিপোর্ট : গত রোববার নগরীর পৃথক তিনটি এলাকায় ঝটিকা মিছিল করার অভিযোগে পুলিশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ৩৯ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে হরিণটানা, খালিশপুর ও আড়ংঘাটা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের আদালতে সোপর্দের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার সকালে নগরীর জিরোপয়েন্ট মোড়ে, দুপুরে বয়রা মহিলা কলেজ সড়কে এবং বিকেলে বাইপাস সড়ক সংলগ্ন শহীদের মোড়ে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জেলা আওয়ামীলীগের ব্যানারে ঝটিকা মিছিল করে। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি এবং অন্তর্ঘাতমূলক কাজে লিপ্ত রয়েছে, এর অংশ হিসেবে মিছিল অনুষ্ঠিত হয় বলে কেএমপি’র এক প্রেস রিলিজ থেকে জানা গেছে। দলটি এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা যেনো অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সেজন্য পুলিশ সতর্কাবস্থানে রয়েছে। পুলিশি টহলও জোরদার করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত, নগরীর প্রবেশ দ্বার জিরো পয়েন্ট মোড়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, গাড়ী ভাংচুর ও খুলনার সাথে বিভিন্ন জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার উদ্দেশ্যে উদ্দেশ্যে দলটি এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা রোবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে সমবেত হয়েছিলেন। তারা সরকার বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দিতে-দিতে অগ্রসর হচ্ছিলেন। পুলিশ দেখে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে গল্লামারী, লবনচরা ও ডুমুরিয়ার দিকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০/৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। হরিনটানা থানার (ওসি) শেখ খায়রুল বাশার দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ২২ জন গ্রেফতার হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।আড়ংঘাটা থানার (ওসি) মোঃ তুহিনুজ্জামান দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০/৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ১০ জন গ্রেফতার হয়েছে। অন্য আসামিদেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। খালিশপুর থানার (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০/৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে সাত জন গ্রেফতার হয়েছে। পলাতকদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

