জন্মভূমি রিপোর্ট : নগরীতে প্রকাশ্য দিবালোকে ট্যাংকলরি মালিক সমিতির সাবেক মহাসচিব শেখ ফরহাদ হোসেনসহ তিন জন গুলিতে জখম হওয়ার ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যও আটক করতে পারেনি।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকেল চার টার দিকে দৌলতপুরের যমুনা রোড এলাকার বাড়ী থেকে ঢাকা মেট্রো ঘ ১৩-৮৫৪২ নাম্বার গাড়ীতে চড়ে ফরহাদ তার ম্যানেজারসহ বেরিয়েছিলেন। ওই রোডেই একটি হলুদ-নীল রঙের পিকআপ তাদের গতিরোধ করে। পিকআপের চালকের পাশে বসা শ্যুটার শটগান অথবা বন্দুক দিয়ে গাড়ীর সামনের গ্লাসে গুলি করে। গুলির র্ছরায় ফরহাদ, তার ম্যানেজার মোঃ সোহেল এবং ড্রাইভার মোঃ মনিরুল ইসলাম জখম হন। অন্যদিকে মুখে মাস্ক পরা ছয় জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী পিস্তল দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করে মোটর সাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। যদিও তাদের আগ্নেয়াস্ত্রের বুলেট গাড়ীতে লাগেনি। তবে, ঘটনাস্থলের পাশর্^বর্তী একটি বন্ধ দোকানের শাটার গুলিতে ছিদ্র হয়েছে।
স্থানীয়রা জখম হওয়া তিন জনকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাদের মধ্যে সোহেল এবং মনিরুল প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী ফিরেছেন। ফরহাদের শরীরের বাম পাশের বিভিন্ন স্থানে র্ছরায় জখম হয়েছে। তিনি নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত। কারা, কি কারণে হামলা চালিয়েছে? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি পুলিশকে বলেছেন, পরে জানাবেন। অন্য দুইজন বলেছেন, তারা এ ব্যাপারে কিছুই জানেননা। যদিও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর আতাহার আলী দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, ভিকটিমদের গাড়ীটিকে ব্যারিকেড দেয়া পিক আপটি জব্দ করা হয়েছে। যেটাতে থাকা শ্যুটার এবং চালকও অন্য হামলাকারীদের মতো পালিয়েছে। পিক আপের মালিকের নাম-পরিচয় জানা যায় নি। ঘটনাস্থল থেকে পিস্তলের চারটি গুলির খোসা এবং শটগান অথবা বন্দুকের একটি তাজা গুলি আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মামলা দায়ের হয়নি। ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক এবং তাদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
নগরীতে দিবালোকে ব্যবসায়ী নেতাসহ ৩ জন জখমের ঘটনায় জড়িতরা অধরা

Leave a comment