জন্মভূমি রিপোর্ট
গত ২৯ জুন রাতে নগরীর খালিশপুর থানা এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত জমি ব্যবসায়ী মোল্লা জুলকার নাঈম ওরফে মুন্না হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া সন্দেহভাজন আসামি হাদিউজ্জামান জয় (৩০) কে পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানির জন্য আদালত দিন ধার্য্য করেছেন।
গত ২ জুলাই ভোর ৬ টার দিকে খালিশপুরের মুজগুন্নি এলাকা হতে পুলিশ হাদিউজ্জামানকে গ্রেফতার করে। হত্যাকাÐে জড়িতদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে গ্রেফতার, আততায়ীদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারসহ খুনের মোটিভ উদঘাটনের চেষ্ঠায় তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) তাকে রিমাÐে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালতে এ রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আদালতের একটি সূত্র গত রাতে দৈনিক জন্মভ‚মিকে এ তথ্য জানান।
নিহত জুলকার নাঈম ওরফে মারজান আহমেদ ওরফে মুন্না (৩৮) দিঘলিয়া উপজেলার সুগন্ধি গ্রামের মৃত মোশারফ মোল্লার ছেলে। তিনি দিঘলিয়ার সেনহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হালিম এবং দৌলতপুরের ঠিকাদার হোজি শহিদ হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিলেন। একই সাথে তিনি মারামারি ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দিঘলিয়া থানায় দায়ের হওয়া আরও একটি মামলার আসামি ছিলেন। তিনি কোনো নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠনের সদস্য ছিলেন কিনা? তদন্ত কর্মকর্তা গত রাত পর্যন্ত এ ব্যাপারে অবহিত ছিলেন না।
পুলিশ জানায়, গত ২৯ জুন রাত সাড়ে ৮ টার দিকে জুলকার খালিশপুরের মুজগুন্নি এলাকার ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব সংলগ্ন রাস্তা পার হচ্ছিলেন। তখন একটি মোটর সাইকেলে দু’জন ঘাতক এসে তার মাথা লক্ষ করে পরপর দুইটি গুলি করে দ্রæত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। মুহূর্তেই তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। আশ-পাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরদিন নিহতের বোন হুমায়রা অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তি দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্রীক বিরোধের কারণে জুলকার ওরফে মুন্না এলাকায় অবস্থান করতেন না। শহরে থেকে তিনি বাজার কমিটির কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।
কোন-কোন ক্লু সামনে রেখে মামলার তদন্ত কাজ চলছে? ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে কি-কি বস্তু জব্দ হয়েছে? তদন্তের স্বার্থে মামলার (আইও) ইন্সপেক্টর নিমাই চন্দ্র কুন্ডু এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। যদিও হত্যাকাÐের পরে অকুস্থল থেকে দুই রাউন্ড রিভলবারের গুলির খোসা জব্দ হয়েছিল বলে তিনি জানিয়েছিলেন।