জন্মভূমি রিপোর্ট
গত নয় দিন আগে নগরীর খালিশপুর থানা এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত জমি ব্যবসায়ী মোল্লা জুলকার নাঈম ওরফে মুন্না হত্যা মামলার তদন্তভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই কর্তৃপক্ষের উপর ন্যস্ত হয়েছে।
যে কারণে কারাগারে থাকা সন্দেহভাজন আসামি হাদিউজ্জামান জয় (৩০) কে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি বৃহস্পতিবার ধার্য্য তারিখে অনুষ্ঠিত হয়নি।
গত ২ জুলাই ভোর ৬ টার দিকে খালিশপুরের মুজগুন্নি এলাকা হতে থানা পুলিশের একটি টিম হাদিউজ্জামানকে গ্রেফতার করে।
তাকে পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। গতকাল রিমাÐ শুনানির ধার্য্য তারিখে মামলার অভিযোগকারী নিহতের বোন হুমায়রা আইনজীবীর মাধ্যমে মামলার তদন্তভার পিবিআই কর্তৃপক্ষের উপর ন্যস্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করেন। দুপুর ১২ টার পরে মেট্রোপলিটন ম্যজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালতে এই আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত ফরিয়াদীর আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালতের এক কর্মকর্তা দৈনিক জন্মভূমিকে এসব তথ্য জানান।
পুলিশ জানায়, গত ২৯ জুন রাত সাড়ে ৮ টার দিকে জুলকার খালিশপুরের মুজগুন্নি এলাকার ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব সংলগ্ন রাস্তা পার হচ্ছিলেন। তখন একটি মোটর সাইকেলে দু’জন আততায়ী এসে তার মাথা লক্ষ করে পরপর দুইটি গুলি করে দ্রæত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। মুহূর্তেই তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। আশ-পাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরদিন নিহতের বোন অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
সূত্রমতে, নিহত জুলকার নাঈম ওরফে মারজান আহমেদ ওরফে মুন্না (৩৮) দিঘলিয়া উপজেলার সুগন্ধি গ্রামের মৃত মোশারফ মোল্লার ছেলে। তিনি দিঘলিয়ার সেনহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হালিম এবং দৌলতপুরের ঠিকাদার হোজি শহিদ হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিলেন। একই সাথে তিনি মারামারি ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দিঘলিয়া থানায় দায়ের হওয়া আরও একটি মামলার আসামি ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুন্না দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্রীক বিরোধের কারণে তিনি এলাকায় অবস্থান করতেন না, শহরে থেকে বাজার কমিটির কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।