বিজ্ঞপ্তি : মৌমাছিকে কেন চিনি খাওয়াই এক মতবিনিময় সভা রোববার রাতে নগরীর স্থানীয় একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর, ঝিনাইদহ, রাজবাড়ি ও মাগুরার জ্যেষ্ঠ মৌ খামারি এবং খুলনার মধু ব্যবসায়ীগণের সহযোগিতায় মৌমাছি ও মধু এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সভায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লনের প্রফেসর ড. শেখ জুলফিকার হোসেন, প্রফেসর ড. মাহবুব ই-সোবহানী, মধু গবেষক ও উদ্যোক্তা সৈয়দ মুহাম্মদ মঈনুল আনোয়ার, রংপুরের হানি স্কুলের মো: মিজানুর রহমান, মধু ব্যবসায়ী মো: আইয়ুব আলী, মো: আবুল কালাম আজাদ, মো: ফয়সাল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অতিথিরা বলেন, মধু শরীরের সামগ্রিক শক্তি ও তারুণ্য বাড়ায়। মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান থাকে। হাড় ও দাঁত গঠনে মধুর গুরুত্ব অপরিসীম। মধু দেশের জনগণের প্রিয়। তাঁরা বলেন, মৌমাছিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে চিনি খাওয়াতে হয়। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশেই মধু ব্যবসায়ীরা মৌমাছিকে চিনি খাওয়ানো এই কাজ করে থাকেন। মৌমাছিকে চিনি খাওয়ানো সমস্যাও না এবং অপরাধের কিছুনা। বাংলাদেশে আট মাসই বিভিন্ন ধরনের ফুল ফোটে। এই ফুল থেকেই মৌমাছিরা মধু সংগ্রহ করে থাকেন। মধুতে যেন ভেজাল না থাকে তা মধু ব্যবসায়ীদের নিশ্চিত করা প্রয়োজন। মধু চাষ করে লাখ লাখ টাকা আয় করছে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
সভায় মৌমাছিকে কেন চিনি খাওয়াই তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভায় শতাধিক মধু ব্যবসায়ী, মৌয়াল, মধু গবেষক, মৌচাষি ও খামারিরা অংশ নেন। এর আগে মধু ব্যবসায়ীরা খুলনার সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক এম এ হাসানসহ কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং মধুর উপকরণ প্রদান করেন।