জন্মভূমি রিপোর্ট : শরিয়তপুর জেলার সদর থানাধীন চন্দনকর গ্রামের বাসিন্দা গোবিন্দ চন্দ্র দাস (৩৮) রাজধানী ঢাকার ধোলাইখাল এলাকা হতে চোরাকারবারী চক্রের দুই পিস সোনার বার মহানগরী খুলনার জিরো পয়েন্ট এলাকায় বহন করে আনছিলেন। সেখান থেকে চক্রের কোনো সদস্য এসে তার কাছ থেকে ওই স্বর্ণের বার দুটো রিসিভ করার কথা ছিল। কিন্তু লবনচরা থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যায় সাচিবুনিয়া বিশ^রোড এলাকায় এনা পরিবহনের একটি বাস তল্লাশি করে তাকে গ্রেফতার করে। এরপর তার অন্তর্বাসের মধ্যে লুকানো ১০ ভরি ওজনের বার দুটো উদ্ধার হয়। যার মূল্যমান ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। সে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে।
থানার উপ-পরিদর্শক প্রদীপ বৈদ্য দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, কে এসে আসামির কাছ থেকে ওই চোরাচালানের সোনা রিসিভ করবে, এ ব্যাপারে সে জানতো না। এটা ঢাকায় অবস্থানরত ওই চক্রের অন্য সদস্যরা জানতো। তার মোবাইলে চোরাকারবারী চক্রের কোনো সদস্যের নাম্বার ছিল না। তবে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামির কাছ থেকে চক্রটির ব্যাপারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। যা যাচাই-বাছাই চলছে, কিন্ত তদন্তের স্বার্থে সে সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব নয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) উপ-পরিদর্শক মাসুম বিল্লাহ মঙ্গলবার দুপুরে আসামি গোবিন্দকে আদালতে সোপর্দ করেন। এরপর সে অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আল আমীন ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দী রেকর্ড করেন। পরবর্তীতে তিনি অভিযুক্তকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের এক কর্মকর্তা দৈনিক জন্মভূমিকে এ তথ্য জানান। কেএমপি’র এক প্রেস রিলিজ থেকে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের উৎস এবং চোরাকারবারী চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত