জন্মভূমি রিপোর্ট : নগরীর দৌলতপুর থানাধীন মহেশ^রপাশা ঘোষপাড়া কবরস্থানের পাশর্^বর্তী একটি ঝোপ থেকে তাসিম জমাদ্দার (১৬) নামে এক রিক্সাচালকের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে থানা পুলিশের একটি টিম তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। ঘাতকেরা তাকে শ^াসরোধে হত্যা করেছে। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরের আরেকটি ঝোপের মধ্য থেকে তার ছিনতাই হওয়া রিক্সাটি ব্যাটারি বিহীন অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে।
নিহত তাসিম জনৈক মিজান জমাদ্দারের ছেলে। তিনি সপরিবারে ওই থানার শিকারির মোড় এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বসত করতেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো সোমবার সকালে তাসিম মানিকতলা এলাকার জনৈক ইউনুসের গ্যারেজ থেকে রিক্সা নিয়ে উপার্যনের জন্য বের হন। প্রতিদিন রাত সাড়ে ১১ টা থেকে ১২ টার মধ্যে তিনি বাসায় ফেরেন, কিন্তু ওই রাতে তিনি ফেরেননি। সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে তারা পল্লীতীর্থ স্কুলের পাশের একটি বাগান থেকে রিক্সাটি উদ্ধার করলেও সেটির ব্যাটারি ছিলনা। এরপর সিআইডি ও পিবিআই এর পৃথক দুইিটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছান। মরদেহের গলায় ফাঁস দেবার চিহ্ন রয়েছে। তবে, অকুস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কোনো দড়ি, গামছা অথব অন্য কোনো বস্তু আলামত হিসেবে জব্দের জন্য পাওয়া যায়নি।
সূত্র জানান, তিন জন যাত্রী ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারি চালিত ওই রিক্সা স্থানীয়ভাবে বৌ রিক্সা অথবা মিশুক নামে পরিচিত। দাম এক লঅথ ২৫ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। এর ব্যাটারির দাম ২৫হাজার টাকা। গত দু’-তিন বছর ধরে ওই রিক্সাগুলো শহরে চলতে দেখা যাচ্ছে। তবে, অন্য রিক্সার তুলনায় বৌ রিক্সা খুব সামান্যই চোঁখে পড়ে।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর আতাহার আলী দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, ব্যাটারি ছিনতাইয়ের জন্য এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল। হত্যাকাণ্ড এবং ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত সন্দেহভাজনদের আটকের জন্য চেষ্টা চলছিল বলে (ওসি) জানিয়েছেন।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত